সহকারী মৌলভী
১৬ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
ক্ষুধার সূচকে বাংলাদেশ
অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকায় ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট শুক্রবার চলতি বছরের যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের স্কোর গতবারের ২০.৪ থেকে কমে ১৯.১ পয়েন্ট হয়েছে।
এর ফলে ক্ষুধার মাত্রা বিবেচনায় বাংলাদেশ ‘মারাত্মক’ থেকে ‘সহনীয়’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচক।
এই সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য। আর সবচেয়ে খারাপ স্কোর হলো ১০০ পয়েন্ট। স্কোর বাড়লে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি, আর কমলে পরিস্থিতির উন্নতি।
স্কোরের মধ্যে দেশগুলোর অবস্থানকে মোটা দাগে পাঁচটি ধাপে ভাগ করে খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি বোঝানো হয়-
অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় জিএইচআই।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, ২০১২ সালের পর থেকে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে; তীব্র পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত স্কোর ২৮.৬ থেকে সহনীয় বিবেচিত ১৯.১ স্কোরে নেমেছে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে শিশু অপুষ্টির হারও ব্যাপকভাবে কমেছে; ২০০০ সালের ৫১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে ২৮ শতাংশে নেমেছে।