Loading..

খবর-দার

১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনী চলছে

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানা উদ্ভাবন ও হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনী চলছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সোমবার এখানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ উদ্বোধন হয়েছে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুরু হওয়া তিন দিনের প্রযুক্তি প্রদর্শনী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

প্রযুক্তি খাতে দেশের সক্ষমতা, দক্ষতা, হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদনে সম্ভাবনা প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হাইটেক পার্ক এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়ন কাঠামোর অগ্রগতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সম্পর্কেও দর্শনার্থীরা ধারণা অর্জন করতে পারছেন। মেলায় রয়েছে ৮টি জোন। এর মধ্যে রয়েছে তরুণদের জন্য রয়েছে ইনোভেশন জোন। এই জোনে নিত্যনতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। আইডিয়া প্রজেক্টের ৩০টি প্রজেক্ট, এটুআইয়ের ৩০টি প্রজেক্ট এবং ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে ইনোভেশন জোন।

অ্যাকটিভেশন প্রোগ্রামগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে এবং প্রদর্শনীটি শেষ হওয়ার পর শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দেওয়া হবে। স্টার্টআপ জোনে নতুন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রজেক্ট সম্পর্কে ধারণা পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলার অন্যতম আকর্ষণ রোবোটিক জোন।

প্রদর্শনীতে রয়েছে মঙ্গলযাত্রার নিবন্ধন। ২০৪১ সালে মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে এই জোন দর্শনার্থীদের আশার সঞ্চার করছে। বিসিএস এক্সপো জোনে পাওয়া যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সব হালনাগাদ পণ্য।¯প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে। প্রযুক্তিপণ্য কেনার সুযোগ মিলছে এই জোনে। এক্সপো জোনে থাকছে ১১০টি প্যাভেলিয়ন ও স্টল। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের (আসুস, এইচপি, ডেল, ইন্টেল, স্যামসাং প্রভৃতি) প্রযুক্তি পণ্যের সমাহারে সাজানো হয়েছে এসব স্টল। রয়েছে বিটুবি কর্নার।

গেমারদের জন্য রয়েছে গেমজোন। দেশের তৈরি বিখ্যাত ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির দেখা পাওয়া যাবে এক্সপোতে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুততম অর্থনীতির একটি। জাতিসংঘ বলছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত ১০ বছরে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনা বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে । তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচয় পেয়েছে, যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং সময়ভিত্তিক বাস্তবায়ন।

অনুষ্ঠানে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বছরে চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করে। সরকারের ব্যবসায়বান্ধব নীতির কারণে গত এক বছরে ওয়ালটন, সিম্ফোনিসহ কোরিয়ান স্যামসাং আমাদের হাইটেক পার্কে সেট উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের সরকার সহযোগিতা করে আসছে।’

বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, তরুণ উদ্ভাবকেরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণদের উদ্ভাবনী, ব্যবসায়িক ও সেবাভিত্তিক প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

বিসিএস সভাপতি শহীদ উল মুনীর বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ১৯৮৭ সাল থেকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।