Loading..

খবর-দার

২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

পিউম ফুল, মোছাঃ মার্জুয়ারা বেগম, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিমলা, নীলফামারী।

হাওর এলাকায় নানা রকম বৃক্ষ রয়েছে, এদের মধ্যে হিজল, করচ, বরুণ, বিয়াস, মেরা, ধুপ, কাঁটা মান্দার ইত্যাদি যাদের অধিকাংশই জল সহনীয় উদ্ভিদ। যেমন । এ ছাড়া আছে বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম ও বীরুৎ-জাতীয় উদ্ভিদ। আর পিউম ফুলের সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে ওঠে হাওরের পতিত জমি, কান্দা, নদীর পাড়, সড়ক ও বাঁধের আশপাশ। আকর্ষণীয় রঙের পসরা নিয়ে ফুটে ওঠে এ ফুল। অনেক গাছ ঝোঁপ আকারে বেড়ে ওঠায় অনেক দূর থেকে ফুলের উজ্জ্বল বর্ণ দেখা যায়।

হাওর এলাকায় এটির কোনো স্থানীয় নাম পাওয়া যায়নি। তবে শেরপুর এলাকায় এ ফুলকে পিউম বলে। কোথাও হুড়হুড়ি ও ঝরনা ফুল নামেও পরিচিত। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Cleome hassleriana, পরিবার Cleomaceae। ইংরেজি নাম Spider flower, Pink queen।

পিউম দক্ষিণ আমেরিকার উদ্ভিদ। আদি আবাস আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিল। বর্ণিল সৌন্দর্যের জন্য উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে জন্মে এ উদ্ভিদ। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ হাওর এলাকার জেলায় জেলায়। মূলত শুকনো মৌসুমে চারা গজায় এবং মার্চ-এপ্রিলে ফুল আসে। হাওরে পুরো বর্ষার জল আসার আগেই ফলের বীজ পরিপক্ব হয়ে ভূমিতে পড়ে। সে বীজ জলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।