Loading..

খবর-দার

২৬ অক্টোবর, ২০২১ ০২:৩৮ অপরাহ্ণ

বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু

বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু

ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে জন্ম বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ক্রিকেটে হাতেখড়ি স্থানীয় বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে স্কুলের মাঠে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। ২০০৫ সালে ছেলেদের লেখাপড়ার কথা ভেবে গ্রাম ছেড়ে ফেনী শহরের কদল গাজি রোডে বাসা ভাড়া নেন বাবা পুলিশ সদস্য আব্দুল খালেক।

২০০৮ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালাতে মা জোহরা বেগম সন্তানদের কথা ভেবে কষ্ট হলেও শহর ছাড়েননি। সাইফউদ্দিন ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটপাগল। মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন ফেনীর শাহীন একাডেমি স্কুলে। সেখান থেকে এসএসসি পাশ করে ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজে ভর্তি হন। এলাকার বড় ভাইদের সাহায্যে ফেনী ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে যোগ দেন। সেটি সাইফউদ্দিনের ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হওয়ার শুরুর দিকের কথা। সেসময় ফেনী ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের মাঠের দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষক শরীফুল ইসলাম অপুর হাত ধরে বয়সভিত্তিক খেলার প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন পেসার সাইফউদ্দিন।

২০০৮ সালে প্রথম ফেনী জেলা অনূর্ধ্ব-১৪ দলের ট্রায়াল থেকে বাদ পড়ে যান তিনি। পরের বছর আবারও অনূর্ধ্ব-১৪ ফেনী জেলা দলের ট্রায়ালে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত হন। সেসময় বিসিবি আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ফেনী। সাইফউদ্দিন প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান করে বিসিবির নজরে আসেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলে সুযোগ পেয়ে সেখানেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২০১০ সালে প্রথম জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ঠাঁই হয় তার। সেই প্রথম বিদেশে খেলতে যান। এরপর জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে নৈপুণ্য দেখান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বোলিং ও ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ২০১৪-তে অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে সারা দেশে তিনি টুর্নামেন্টসেরা নির্বাচিত হন।

২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয় তার। এরপর বিসিবির হাই পারফরম্যান্স দল ও এ-দলে সুযোগ পান। ২০১৭-তে শ্রীলংকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে আন্তর্জাতিক টি ২০তে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের। একই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে ওডিআইতে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে খেলেন সাইফউদ্দিন। পরিবারে মা ছাড়াও বড় দুই বোন রয়েছে। বড় ভাই ব্যাংকে কর্মরত। ছোট ভাই স্কুলপড়ুয়া। সূত্র,২৬ অক্টোবর,যুগান্তর।