Loading..

খবর-দার

০২ নভেম্বর, ২০২১ ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় কত যুদ্ধ করে, কত ঝগড়া করে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়টির সদম্ভ যাত্রা। কত বিখ্যাত পণ্ডিত-অধ্যাপক শিক্ষকতা করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে! কত উজ্জ্বল নক্ষত্র উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকরা আলো ছড়িয়েছেন দেশ-দেশান্তরে। তাই এক সময় গর্বভরে কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতে পছন্দ করতেন ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’। এর বড় চালিকাশক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও সরকারের মনোভাব। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করতেন জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির বিদ্যাপীঠ হিসাবে। পাকিস্তান আমলেও এ ধারার তেমন পরিবর্তন হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একই আদর্শ সামনে রেখে। বিশ্ববিদ্যালয়কে তখনো নষ্ট রাজনীতি গ্রাস করেনি।

পকিস্তান আমলের ২৪ বছরজুড়েই ছিল শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির এক ধরনের মুক্তির লড়াই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এ লড়াইয়ের প্রধান সৈনিক ছিলেন। তবুও বিদ্যাপীঠ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় তখনো আদর্শচ্যুত হয়নি। বরঞ্চ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছিল। এ সময় জাতীয় নেতারা পরামর্শের জন্য অভিন্ন আদর্শ লালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে ছুটে আসতেন। এখনকার মতো নেতাদের কাছে কৃপা ভিক্ষার জন্য ছুটতেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছাত্র রাজনীতি যেহেতু দেশ কল্যাণের দর্শন নিয়ে বিকশিত হতো, তাই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ম্লান হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বক্ষণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিছুটা ভিন্ন উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে। ঢাকা শহর থেকে একটু দূরে নিরিবিলিতে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারলক্ষ্যে। চিন্তা ছিল স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় যুক্ত থাকতে পারবে। একটি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এখানে। ধীরে ধীরে পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পর্যন্ত অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একপর্যায়ে শুরু হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যুগ।

দিনে দিনে ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। স্বাধীনতার পর থেকেই এ ক্ষরণ শুরু হয়। তবে তা ক্যানসার-আক্রান্ত হয়ে পড়ে গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে। এ সময় থেকে গণতান্ত্রিক আদর্শকে একপাশে সরিয়ে রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পৌঁছার লড়াইয়ে নামে বড় রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতার লোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ ভূলুণ্ঠিত করে একশ্রেণির ছাত্র-শিক্ষককে সামান্য ক্ষুদ-কুড়ার প্রলোভনে রাজনীতিকরা লাঠিয়াল বানাতে থাকে। এভাবেই ভূলুণ্ঠিত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার আদর্শ। যে কারণে আজ শিক্ষা গবেষণায় অনেকটা স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র‌্যাকিংয়ের নিচু তলা থেকেও ছিটকে পড়ছে। পাশাপাশি রাজনীতির সংস্রব না থাকায় দু-চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চার বাসনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।

বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শিতা দিয়ে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল মুক্তচিন্তা ও বিবেক নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকরা এখানে জ্ঞানরাজ্য প্রতিষ্ঠা করবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু-উত্তর বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর নষ্ট রাজনীতির ঘুণপোকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্খলনের শুরু এখান থেকেই। বঙ্গবন্ধুর অধ্যাদেশ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা। শিক্ষকের মর্যাদা অটুট রাখা এবং জ্ঞানচর্চার শাখা প্রশাখাকে উজ্জীবিত করা। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক বলয় তৈরি করে ক্রমে গণতান্ত্রিক ধারার অপব্যবহার করে আসছি। অপমৃত্যু ঘটছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের।

যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছে। এক ধরনের উগ্র চিন্তা থাকায় ছাত্র রাজনীতি এর আদর্শিক ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে অর্থলোভী ও পেশিশক্তিনির্ভর সংগঠনে পরিণত হতে থাকে। যার প্রযোজক-পরিচালক হয় জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাই পঞ্চাশ-ষাটের দশকে যেখানে মেধাবী ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতিতে প্রভা ছড়াতেন, সেখানে এখন ছাত্র রাজনীতিতে মেধাবীদের খুঁজে পাওয়া ভার। কিছুকাল আগেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আর তাদের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের ছাত্রলীগ সংগঠনগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারতেন। এখন সম্ভবত সে নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে নেই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠন এখন সক্রিয় থাকতে পারছে না বলে ছাত্রলীগ নিজেরা নিজেরাই গ্রুপিংয়ে বিভক্ত হয়ে ভ্রাতৃঘাতী মারামারি করে সন্ত্রাসের অভ্যাস বজায় রাখছে। কোভিডের কারণে দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে মাত্র। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ রক্তারক্তি মারামারি করে ফেলল। এর জেরে বন্ধ করে দিতে হলো মেডিকেল কলেজ। যেখানে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হয়, সেখানে অমন সন্ত্রাসী আচরণ অন্য প্রতিষ্ঠানে ছড়াবে না কে বলতে পারে!

রাজনীতিতে যুক্ত শিক্ষকদের অধিকাংশই এখন আর মুক্তমনা নন। বলয়ভুক্ত হয়ে বলয় রক্ষায় ব্যস্ত থাকেন তারা। এখানেও বিবেক নির্বাসিত। এ জায়গাটি অস্বচ্ছ করে ফেলেছে ক্ষমতালোভী অসৎ রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতাকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর ঔজ্জ্বল্য অনেকটা রক্ষা করতে পেরেছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন কী হবে, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির তপবন কতটা হবে, এর অনেকটাই নির্ভর করত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিচালক উপাচার্য মহোদয়ের চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। তাই বিশ্বজুড়েই উপাচার্যরা হতেন বরেণ্য মানুষ। তাদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যেত অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অমন পরিবেশ ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৩-এর অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। যে কথা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-উত্তর সময়েও, বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের আগে অপরাজনীতির যাত্রা শুরু হলেও তা তেমন জাঁকিয়ে বসেনি। তখনো উপাচার্য হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করা অধ্যাপকদের তেমন দেখা যেত না। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে আচার্য যোগ্য পণ্ডিতজনদেরই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিতেন। তাই তাদের ঘিরে লোভী রাজনীতির কুশীলবরা বলয় তৈরি করতে পারেননি।

আমি নিজের অভিজ্ঞতাই বলতে পারি। ছাত্র ও শিক্ষক জীবনে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হইনি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনই টানতো আমাকে। এখন বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক হতে হলে মেধা নয়, রাজনীতির পরিচয়টা সামনে আসে প্রথম। অথবা উপাচার্যের কাছের কেউ কারও জন্য তদবির করছে কিনা কিংবা সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কার জন্য তদবির কতটা আছে, এসব প্রশ্নই এখন মুখ্য। এসবের চাপে মেধায়, সার্টিফিকেটে উজ্জ্বল প্রার্থীর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন মুহূর্তে খান খান হয়ে যায়। ১৯৮৪ সালে আমি যখন শিক্ষক হই, তখনো অমন অসুস্থ অবস্থা ছিল না। কোন ছাত্র বা ছাত্রীর শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে, তা মুক্তমনা শিক্ষকরাই নজরে রাখতেন। সেই খোঁজ উপাচার্য মহোদয়দের কাছেও চলে যেত। আমার ছাত্রাবস্থা থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী স্যার। আমাদের বিভাগে প্রভাষকের পদ না থাকায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন হচ্ছিল না। অন্য এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করতে চলে গিয়েছিলাম। একথা জেনে সিদ্দিকী স্যার আমাকে খবর দিয়ে এনে প্রাথমিকভাবে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে আটকে ফেলেছিলেন। এটি ছিল সে সময়ের বাস্তবতা। সৌন্দর্যও বলা যায়। আর এখন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারদিক। রাজনৈতিক পরিচয় ও তদবির হচ্ছে এখন লক্ষ্য পূরণের প্রধান হাতিয়ার। সে যুগে আমরা মেধাচর্চা করায় ব্যস্ত থাকতাম। তদবিরের পেছনে ছুটতে হতো না।

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সক্রিয় থাকায় এখন অনেক ক্ষেত্রে দুর্বলরা চলে আসছেন শিক্ষকতায়। এ সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেধাবীরা নিয়োগ পাচ্ছেন বটে তবে, সেক্ষেত্রে উপাচার্যের পক্ষের রাজনীতি করার দাসখত দিয়ে তাদের আসতে হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ঘটনা যে ঘটে না তেমন নয়। তবে নতজানু হতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে ফেলেন। এসবের যোগফলে অনেক নবীন-প্রবীণ শিক্ষক দলীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে ঠিকমতো ক্লাসে আসতে পারেন না। গবেষণার অঙ্গন শূন্যতায় ভোগে। অসহায় শিক্ষার্থীরা গিনিপিগের মতো সব মেনে নিতে বাধ্য হয়।

দিনকয়েক আগে সরকারের উচ্চতম পর্যায়ে একটি সভায় উপস্থিত ছিলাম। একপর্যায়ে এক মন্ত্রী মহোদয় যথার্থই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জানালেন, একটি বড় নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অবকাঠামো ও শিক্ষা উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে বড় মাস্টারপ্ল্যান পেশ করেছে। অথচ সেখানে সবই আছে, নেই শুধু অ্যাকাডেমিক প্রসঙ্গগুলো।

আমার বলতে ইচ্ছা করছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ তো আপনাদের ইচ্ছাতেই পূরণ হয়। যেমন গাছ বুনবেন তেমন ফলই তো পাবেন। তা হলে আর আক্ষেপ কেন? আসলেও যদি ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাধারণীকরণ করি, তবে দেখব সেখানে সব কাজই সাফল্যের সঙ্গে হয়, শুধু শিক্ষা গবেষণার জায়গাগুলো ছাড়া। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের তলানিতেও যে পাওয়া যায় না, এর কারণ তো এখানেই নিহিত।

এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে মেধাবী-বরেণ্য শিক্ষক নেই তা নয়। কিন্তু গুণের মর্যাদা এখানে পাওয়া যায় না। ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির পচনশীল পুঁতিগন্ধময় আবহাওয়া বিষাক্ত করে ফেলেছে চারদিক। এমন জায়গা থেকে সুস্থ মননশীলতার বিকাশ ঘটবে কী করে! তবু রক্ষা, অনেক বিদগ্ধ দায়িত্বশীল শিক্ষক সংকীর্ণ রাজনীতির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত চর্চা ও প্রজ্ঞার গুণে রাজনীতির অঙ্গনে থেকেও গবেষণা ও পাঠদানে নিজেদের যুক্ত রেখেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাদের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়নি।

মাঝে মাঝে ভাবতে ভালো লাগে, যদি স্বপ্নের মতো সব পালটে যেত, রাজনৈতিক ভেদবুদ্ধি আর লোভ-লালসা বড় না হয়ে ছাত্র শিক্ষক সবাই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান ভাবতে পারতেন, আমাদের রাষ্ট্র রাজনৈতিক সংকীর্ণতা পরিহার করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে দিত, প্রকৃত জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্বরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার সুযোগ পেতেন, তবে ঘুরে দাঁড়াতে পারত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির এ কাঠামোতে দাঁড়িয়ে এসব স্বপ্নের বাস্তবায়ন নিয়ে খুব একটা আশা করতে পারি না।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]