Loading..

খবর-দার

০৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৭:২২ অপরাহ্ণ

আমলকি যেসকল রোগের উপকার করে।

আমলকি যেসকল রোগের উপকার করে।

আমলকি একটি ফল যা আমাদের অনেক দিক দিয়ে উপকার করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও অনেক সমস্যার সমাধান দেয়। আর তাই আমলকির গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হবে।

·        অতিরিক্ত বমি বন্ধ করতে সাহাযয় করে।

·        আমলকি আমাদের রুচি বাড়ায়।

·        হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের উপকার করে।

·        আমলকি দাত, চুল ও ত্বক ভাল রাখতে কাজ করে।

·        আমলকি কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ করে।

·        বহুমুত্র রোগে কার্যকরি।

·        চোখের সমস্যা যেমন চোখ উঠলে আমলকির রস দিলে চোখ উঠা ভালো হয়।

·        চুল উঠা দূর করতে আমলকি অনেক কার্যকরি।

·        আমলকি মাথায় খুশকি সমস্যা সমাধান করে।

·        পেটের পিড়া সারাতে সাহায্য করে।

·        সর্দি কাসি সারায়।

·        রক্তহীনতার জন্য খুব উপকারী।

·        লিবার ও জন্ডিস রোগ সারাতে আমলকি অনেক উপকারী।

·        আমলকির উপকারিতা এবং গুণাবলী

প্রতিটি মানুষকে সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া দরকার। আমলকির পাতাও ঔষধ হিসাবে উপকারি৷ আমলকি ভিটামিন সি তে ভরপুর৷ আমলকিতে এমন পুষ্টি উপাদান আছে যা পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুন ও ১০ গুন বেশি।

আমলকি হজম শক্তি বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি বা দুধের মধ্যে আমলকির গুড়ো দিয়ে সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে এসিডিটির সমস্যা সমাধান হবে।।

প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মুখের যে কোন কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এবং ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। নিয়মিত আমলকি খেলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং দাত মজমুত হবে।

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা

বাজারে আমলকি বা আমলার তেল রয়েছে। আমলার তেল দিয়ে মাথার চুল মালিশ করলে চুলের ফলিকন মজমুত হয়। এবং চুল উঠা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার বা ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল ভালো থাকে। ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আমলকিতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন আছে যা চুলের খুসকি ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।

আমলকি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমলকি হার্টের জন্য অনেক উপকারী এটি হার্টের ব্লক হওয়াকে বাধা দেয়। আমলকির গুড়ো ব্লাড সুগার কমাতে অনেক সাহায্য করে।

খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা প্রত্যেকেই খাবার খেয়ে জীবন বাচিয়ে রাখি। তবে খুদা কমানোর পাশাপাশি খাদ্য আমাদের আরো অনেক উপকার করে থাকে।

আমরা নিয়ম করে সকল ধরনের খাবার খায়৷ আবার আমরা নিয়ম করে বেশ কিছু ফল খেয়ে থাকি।

আমলকির রসের উপকারিতা

প্রতিটা মানুষেরই সকালে খালি পেটে আমলকির রস খাওয়া উচিত। কম করে হলেও রসের পরিমান ১০ মিলি গ্রাম হতে হবে। আস্তে আস্তে এর পরিমান বাড়িয়ে ২০ মিলিগ্রামে আনতে হবে।আয়ুর্বেদে এমন কিছু খদ্যের কথা বলা হয়েছে যে গুলো খেলে ত্বক রোগ মুক্তির পাশাপাশি উজ্জ্বল হয়৷ তার মধ্যে আমলকি হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। আমলকিতে সকল ধরনের মিনারেল উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বক ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমলকি ভিটামিন সি তে বরপুর থাকায় এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরুধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আমলকির জুসের উপকারিতা

আমলকির জুস করে খাওয়া যেতে পারে। অনেকে আমলকি চিবিয়ে খেতে পারে না। আর তাই আমলকি জুস করে খাওয়া যেতে পারে। যেভাবে জুস বানানো হয় তা হলো, আমলকির বিচি ছাড়িয়ে নিতে হবে। তার পর ব্লেন্ডারে একটু পানি দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। এর পর পরিমান মতো দিনে ২ বার খেতে হবে। বর্তমানে দোকানে আমলকির সিরাপ পাওয়া যায়। যাতে আমলকির সকল দরনের গুন ও পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রনে আমলকি

 আমলকির মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরুধি গুন। আমলকি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা দেয়। আমলকি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

আমলকির অপকারীতা (Disadvantages of Amalki)

সকল কিছুর মতো আমলকির ও বেশ কিছু অপকারীতা রয়েছে। কেননা কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। তবে আবার কিছু জিনিস অনেকের জন্য খাওয়া একেবারেই নিষেধ । তেমনি আমলকিও একই রকম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলকি না খাওয়া বা এরিয়ে চলা অনেক ভালো। যেমন,

·        কোন সার্জারি হয়ে থাকলে আমলকি খাওয়া যাবেনা।

·        ব্লাড থিনিংয়ের ঔষধ খেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

·        যারা অন্তঃস্বত্তা তাদের আমলকি এরিয়ে যাওয়া ভালো।

·        যারা বাচ্চাকে স্তন পান করায় তাদের আমলকি খাওয়া যাবেনা।

coppy