Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

কম্পিউটার গেমে আসক্তি

কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের অজ্ঞতার কারণে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির শ্রেষ্ঠ উপকরণ হিসেবে কম্পিউটারকে ধরা হয়। কম্পিউটার কাজের পাশাপাশি চিত্তবিনোদন ও অবসর সময়ে আনন্দদানের মাধ্যমও বটে। পরিবারে বাবা, মা কর্মজীবী হওয়ায় সন্তানের দেখাশোনা ঠিকভাবে হচ্ছে না, শহরে দিন দিন খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে, সামাজিক বন্ধন হারিয়ে যাচ্ছে, মানুষ এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে শিশু-কিশোররা কম্পিউটার, স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। সেখানে তারা বিভিন্ন রকম গেম খেলে অবসর সময় পার করছে। কখনো কখনো শিশু-কিশোররা অজান্তে ধীরে ধীরে গেমসে আসক্ত হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে হত্যা, যুদ্ধ দৃশ্যসংবলিত উন্নত গ্রাফিক্সের গেম। সম্প্রতি ব্লু হোয়েল নামক গেমের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আত্মহত্যার কথা শোনা যাচ্ছে। যে গেমে বিভিন্ন লেভেল পার করার জন্য নানা রকম কাজ করতে হয় ও সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে আত্মহত্যা। বাংলাদেশেও সম্প্রতি এর প্রবণতা দেখা গেছে। কম্পিউটার গেম অবসর সময়ে বিনোদনের মাধ্যম হলেও মাত্রাতিরিক্ত খেললে তা আসক্তির পর্যায়ে পড়ে। যা অনেক সময় ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশু-কিশোর কম্পিউটারে কী করছে, কতক্ষণ সময় ব্যয় করছে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ইনডোর ও আউটডোর খেলার ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক উৎসব ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক কাজে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। যেসব শিশু-কিশোর আসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কাউন্সিলিং করতে হবে। অভিভাবকদের সচেতনতাই পারে শিশু-কিশোরদের গেম আসক্তি দূর করতে।

আরো দেখুন