Loading..

প্রকাশনা

২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বিজয়- শব্দত্রয় বাঙালির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, মোছাঃ মার্জুয়ারা বেগম,প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিমলা নিলফামারি।
আমেরিকার ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি বলেছিলেন, “The great revolution in the history of man, past, present and future, is the revolution of those determined to be free.” নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির রুখে দাঁড়ানোর ইতিহাস বহু পুরনো। পৃথিবীর নানা অঞ্চল থেকে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি লড়াই করেছে ধারাবাহিকভাবে। উপমহাদেশব্যাপী উপনিবেশায়নের এ লড়াইয়ে কোথাও লড়াই চলেছে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, কোথাও বাঙালিকে লড়তে হয়েছে একা। মূলকথা হলো, লড়াইটা বাঙালির রক্তে মিশে আছে, বাঙালির চেতনায় প্রোথিত আছে শত সংগ্রামের ইতিহাস। শুধুমাত্র পূর্ব বাংলায় ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৬৩ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যেই সংঘটিত হয় ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলনসহ আরো বেশ কয়েকটি বিদ্রোহ ও আন্দোলন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন পার্বত্য চট্টগ্রামে রূপ নেয় গেরিলা যুদ্ধে। এসব আন্দোলনে বেশিরভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঘা বাঘা বীর বাঙালি।

লড়াই-সংগ্রামের উত্তরাধিকার বাঙালিকে নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে প্রেরণা দিয়েছে। লড়াইয়ের দীর্ঘ ধারাবাহিকতা বাঙালিকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাঙালি স্বাধীনতা প্রিয় জাতি। আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অধিকার রক্ষায় বাঙালির বীর সন্তানেরা বারংবার যুদ্ধে গেছে। জয়ী হয়ে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতার সূর্য। ব্রিটিশ বেনিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছে। ব্রিটিশদের হটিয়ে ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে বাঙালির সন্তানেরা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠান পর বাঙালি বুঝতে পারে এই জাতিকে ফের স্বাধিকারের জন্য মাঠে নামতে হবে। বিশেষত যখন বাঙালির মায়ের ভাষার দাবি পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর কাছে উপেক্ষিত হতে থাকে। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে রাজপথে রক্ত দিতে হয়--সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ বীর সন্তানদের। বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে বাঙালি পাকিস্তানিদের কঠোর বার্তা দেয়। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, ভাষা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও মানচিত্রে বিস্তর ফারাক রেখে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে দুটি দেশ এক থাকতে পারে না তা প্রকাশ্য আলোচনায় জোরালোভাবে উঠে আসে মূলত ভাষা আন্দোলনের পরেই।

মুসলিম লীগ গঠিত হলে এ অঞ্চলের মানুষ অনেক আশা নিয়ে দলটিতে যোগদান করে। আশা করা হয়েছিল যে মুসলিম লীগ এ অঞ্চল শুধু নয় বরং সর্বভারতীয়দের ন্যায্য দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলতে সক্ষম হবে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এ আশা ফিকে হয়ে আসে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে পূর্ব বাংলার মানুষের মাঝে এ ধারণা পোক্ত হয় যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাঙালির প্রকৃত স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন: ‘মুসলিম লীগ জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই দলটার কোনো নীতির বালাই নেই। ক্ষমতায় বসে করে নাই এমন কোনো জঘন্য কাজ নাই। পরিষ্কারভাবে জনগণ ও পূর্ব বাংলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই দল হতে যে লোকগুলি বিতাড়িত হয়েছিল তারা এই জঘন্য দলের সভ্যদের মধ্যেও টিকতে পারে নাই। এরা কতটুকু গণবিরোধী হতে পারে ভাবতেও কষ্ট হয়। এরা নীতির জন্য বা আদর্শের জন্য মুসলিম লীগ ত্যাগ করে নাই। ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল ক্ষমতার লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে। এই বিতাড়িত মুসলিম লীগ সভ্যরা পাকিস্তান হওয়ার পরে একদিনের জন্যও সরকারের অন্যয় কাজের প্রতিবাদ করে নাই। এমনকি সরকার থেকে সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করেছে।’ শুধু মুসলিম লীগ নয় পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আচরণও মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। বঙ্গবন্ধুর কথায় ভাষ্যে তা স্পষ্ট বুঝা যায়।
  
চব্বিশ বছরের পাকিস্তানি শাসন এদেশের মানুষের মনে ঘৃণা ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীন হওয়ার ঘটনা তাই অনিবার্য। শুধু ভৌগোলিক দূরত্ব নয় পাকিস্তান রাষ্ট্র, শাসক ও দেশটির জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের গণমানুষের ব্যবধান ছিল অনেক। পাকিস্তানি শাসকদের সৃষ্টি করা আর্থিক বৈষম্য, নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনিবার্য করে তোলে। পাকিস্তানি শাসকরা এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, বাংলার মানুষের ম্যানডেটকেও তারা মানতে রাজি ছিল না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালির বিজয়কে তারা তোয়াক্কা না করায় তাদের পতনের গতি আরো বেশি তরান্বিত হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে স্বাধীনতা। বাঙালির শৌর্য-বীর্যে পরাজয় ঘটে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর। ১৬ ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালি প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অধিকার। এখন এ দিনটি বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশশাসনের ভার ন্যস্ত করে পূর্ব বাংলার মানুষ। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খানসহ পাকিস্তানি গোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে শাসনভার ন্যস্ত করেনি। ঘটনার প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হলে পাকিস্তানি গোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়ে। আন্দোলন অব্যাহত রাখে বাংলার মানুষ। বাঙালি বুঝতে পারে স্বাধীনতা ছাড়া এ যাত্রায় আর ভিন্ন কোনো পথ নেই। ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণে স্বাধীনতার নির্দেশনা স্পষ্ট ছিল। ইয়াহিয়া খান পূর্ব বাংলার নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের উপরে উগরে দেয় তার সমস্ত ক্রোধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, কালরাত্রিতে বাঙালি জাতির উপর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন  শুরু করে। শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের যুদ্ধে বাংলার মাটিকে শত্রু মুক্ত করে বীর বাঙালি। লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে ঢাকায় পাকিস্তানী সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করে। বীর বাঙালি কেউ মুক্তিযুদ্ধের পোশাকে, কেউ যুদ্ধাস্ত্রসহ নেমে আসে রাজপথে। পথে পথে মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে বিজয় মিছিল করে এদেশের বীর জনতা। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হতে থাকে বাংলার আকাশ-বাতাস। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে। জাতি হিসেবে আমাদের রয়েছে পৃথক সত্তা। মাতৃভাষা বাংলার গৌরবও আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। স্বাধীনভাবে কথা বলা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আজ সুদৃঢ় ভিত্তির উপরে সুপ্রতিষ্ঠিত।
 
বাংলাদেশ তার অভ্যুদয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর এলে জনগণের মাঝে নানা প্রত্যাশা ছড়িয়ে যায়। বিজয় দিবসে আমরা মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী লাখো শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরম শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করি। তাদের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানান কর্মসূচী পালিত হয়। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। বিজয় দিবসে রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে বর্ণিল কর্মসূচি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো রঙ-বেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। বিজয় দিবসের মহিমা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রচার হয় চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধ। জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। ফুলের স্তবকে স্তবকে ছেয়ে যায় স্মৃতিসৌধ।

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বিজয়- শব্দত্রয় বাঙালির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, যে জাতির রয়েছে দীর্ঘকাল লড়াইয়ের ইতিহাস, সে জাতি কখনো পরাজয় মানে না। যেকোনো যুদ্ধে সে জাতি জয়ী হয়। মুজিব জন্মশতবর্ষে এসে বাঙালি তা আবারো প্রমাণ করেছে। এই মাসেই পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের সেতু পদ্মা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙালি এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যপানে। বাঙালি যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে দৃঢ়তার সঙ্গে। বাঙালি জাতি ধন্য কারণ--এই  জাতি বিজয় দেখেছে। বাঙালি ধন্য কারণ-এই জাতি শেখ মুজিবুরের মত পিতা শেখ হাসিনার মত কন্যা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছেন স্বাধীন দেশ, পতাকা এবং মানচিত্র। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক বিজয়।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। তাঁর হাত ধরেই ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার পথ দেখেছে। জাতির পিতাকে হত্যা পরবর্তী দীর্ঘ দুঃশাসন, স্বাধীনতাবিরোধীদের নানা ষড়যন্ত্র, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারেনি। কিন্তু, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের আমল পরিবর্তন করেছিল। যেমন, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, বিধবা, বয়স্কভাতা চালুসহ প্রভৃতি জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন তিনি। ২০০৮ সালে পুনরায় সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মেয়াদে তাঁর সরকার বাংলাদেশকে দিয়েছে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে দাঁড়াবার সাহস। নিম্নআয়ের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এ সরকারের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন,পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক রামপাল থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দারপ্রান্তে। বাংলাদেশের এ সকল উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বের গুণে অর্জিত হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই অর্জিত হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কালে এসে সকল বীর বাঙালিকে অভিনন্দন। ১৬ ডিসেম্বর উদ্ভাসিত হোক বাঙালির সকল অর্জনে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি