Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ০৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

মদিনা শহর

   


পবিত্র নগরী মদিনা মুসলিম উম্মাহর কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ শহর। মুসলিম হৃদয়ে এই নগরীর প্রতি রয়েছে অপরিসীম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও মর্যাদা। কেননা এখানেই শুয়ে আছেন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)। পবিত্র এই ভূমিতেই ইসলামের উত্থান হয়েছিল এবং এখান থেকেই সারা পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিল।মাতৃভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন মহানবী (সা.)। তিনি তাঁর জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেষ ১০ বছর এই নগরীতেই কাটিয়েছেন। মূলত আল্লাহ এই নগরীকে ইসলামের জন্য কবুল করেছিলেন।

ইসলামের ইতিহাসের প্রামাণ্য গ্রন্থে মদিনার অনেক নাম পাওয়া যায়, যা তার সম্মান ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। আল্লামা সামহুদি মদিনার ৯৪টি নাম উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে ‘মদিনা’ নামটি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, যা কোরআনে চারবার এসেছে—সুরা তাওবা, আয়াত : ১০১ ও ১২০; সুরা আহজাব, আয়াত : ৬০ এবং সুরা মুনাফিকুন, আয়াত : ৮। আর হাদিসেও এই নামটির ব্যবহার সর্বাধিক। মদিনার আরেকটি প্রসিদ্ধ নাম ‘তাবাহ’। জাবের (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এই মদিনাকে ‘তাবাহ’ নামে নামকরণ করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৪২৩)

মুসলিম শরিফে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনাকে ‘তাইবাহ’ নামেও অভিহিত করেছেন। তাবাহ ও তাইবাহর অর্থ উত্তম। মদিনার উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকটি নাম হলো আদ-দার, আল-হাবিবা, দারুল হিজরা, দারুল ফাতহ ইত্যাদি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আসার আগে এ নগরীর নাম ছিল ইয়াসরিব। নুহ (আ.)-এর এক ছেলের নাম ছিল ইয়াসরিব। তাঁর বংশধরদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি মদিনায় এসে বসবাস করেন। তাঁর নামানুসারে এ শহরের নাম ইয়াসরিব রাখা হয়। ইয়াসরিব অর্থ অভিযুক্ত করা বা ধমক দেওয়া। মহানবী (সা.)-এর হিজরতের পর এ নগরীর নাম রাখা হয় মদিনা। মদিনা শব্দের অর্থ শহর।

নবীজি (সা.)-এর ইয়াসরিবে আগমনে স্থানীয় সব ধর্মবিশ্বাসের এবং সব গোত্রের সব অধিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে শান্তির দূত ও অভিভাবক হিসেবে সানন্দে মেনে নেয়। মহানবী (সা.)-এর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা নিজ শহরের নাম বদলে ফেলে রাখলেন মাদিনাতুন নবী, অর্থাৎ নবীর শহর। তখন থেকেই ইয়াসরিব হয়ে যায় মদিনা।

আরো দেখুন