Loading..

ম্যাগাজিন

২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ১০:২৩ অপরাহ্ণ

খলিশা ফুলের মধু

সুন্দরবনের ছোট থেকে মাঝারি গড়নের একটি গাছ হলো খলিশা। এটি ছোট বৃক্ষজাতীয় প্রকৃত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। খলিশা গাছ থেকে মিটার পর্যন্ত বাড়ে। এই গাছটি সুন্দরবনের সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় না। বিরল এই উদ্ভিদ সাধারণত সুন্দরবনের বিচ্ছিন্নভাবে জন্মে সুন্দরবনে প্রচুর আলো পড়ে এমন পরিবেশে ভালো জন্মে। লবণাক্ততা যেখানে বেশি সেখানে এরা ভালো থাকে। খলিশা ফুল দেখতে কিছুটা সাদা রঙের। খলিশা ফুল ফুটলে সারাদিন মৌমাছি মধু সংগ্রহের জন্য ভিড় করে। বহুদূর থেকে সৌরভ পেয়ে মৌমাছি প্রজাপতির ছুটে আসে খলিশা ফল দেখতে কিছুটা মটর শুঁটির মতো। লম্বায় প্রায় থেকে সেন্টিমিটার । প্রতিটি ফলে একটি করে বীজ থাকে বীজ থেকে চারা গজায়

মার্চ-এপ্রিলে যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। মৌমাছিরা তখন সেই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে গাছে গাছে চাক বাঁধে। সুন্দরবনের খলিশা মধু বিখ্যাত উন্নত মানের। খলিশা গাছ সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বেশি পাওয়া যায়। খলিশা ফুলের মধু একমাত্র সুন্দরবনেই হয়।

এই ভাবে ফুলের আসা যাওয়ার প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে সুন্দরবন থেকে প্রায় পাচ রকম মধু পাওয়া যায়। এর মধ্যে খলিশা ফুল স্বল্প স্থায়ী হওয়ায় এর দাম তুলনামূলক বেশি।

এই ফুল ফোটাফুটির মধ্যকার কয়েকটা দিনই কেবল মাত্র খলিশার দিন। মোহনীয় এই দিন গুলোতে শুধু খলিশায় ছেয়ে থাকে চারদিক, অন্যকোন গাছে অন্য কোন ফুল থাকেনা তখন। আর সেই ফুলের নির্জাস জমে যে মধু হয় সেটাই প্রথম গ্রেডের খলিশাফুলের মধু এই মধু সংগ্রহ করা হয় দিনক্ষনের হিসাব মিলিয়ে। প্রকৃতির বৈশিষ্টকে মাথায় রেখে। দিনক্ষনের হিসাব কাজে লাগিয়ে দক্ষ মৌয়ালরা এক চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে এক পাত্রে রাখেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি