Loading..

ম্যাগাজিন

২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

লাইলাতুল ক্বদরে আমাদের করণীয়

লাইলাতুল ক্বদরে আমাদের করণীয়

ডক্টর মোহাম্মদ ইদ্রিস

লাইলাতুল ক্বদরের ফযীলত সংক্রান্ত আয়াত ও হাদীসের আলোকে বলা যায়, এ অতুলনীয় ফযীলতপূর্ণ মুবারক রাতে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো কর্তব্য। একটি মাত্র রাতে হাজার মাসের চেয়ে বেশি ফযীলত লাভের যে সুযোগ আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিয়েছেন, যে সুযোগ গ্রহণের প্রেরণা দিয়ে রাসূল (সাঃ) ও বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেছেন। তাই এ রাতে ফরয এবাদত ছাড়াও নফল নামায, তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ, দরূদসহ আল্লাহর দরবারে নিজেদের দোজাহানের সৌভাগ্য প্রার্থনা করে দোয়া করতে হবে। এ ভাগ্য রজনীতে দোয়া কবুল করে আল্লাহ পাক কারও ভাগ্যে নির্ধারিত দুঃখ দুর্দশা মিটিয়ে দিয়ে তার পরিবর্তে দান করতে পারেন সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও কল্যাণ। তাই সম্ভব হলে সারারাত নফল এবাদত আত্মনিয়োগ করে মন প্রাণ উজাড় করে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক আস্থা নিয়ে যাবতীয় অভাব মোচনের জন্য, নিজের বিগত জীবনের গুনাহের মার্জনার জন্য এবং ইহ-পারলৌকিক যাবতীয় কল্যাণের জন্য পরম দাতা আমাদের রব আল্লাহ তয়ালার দরবারে ধর্না দিতে হবে। দান-খয়রাতসহ অন্যান্য নেক আমলও যথাসম্ভব বেশি করতে হবে। মনের মধ্যে উৎসাহ ও প্রশান্তি বজায় রাখতে হবে। কারণ এ নেক কাজের এমন এক উৎসব মুখর কল্যাণময় রাত, যে রাতে আমাদের দোয়ায় আমীন আমীন বলার জন্য ওহী বাহক রূহুল আমীন জিবরাঈল সহ অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা দুনিয়াতে নেমে আসেন, তারা আমাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। এছাড়া এ রাতে পাঠের জন্য একটি বিশেষ দোয়া নবী করীম (সাঃ) শিখিয়ে দিয়েছেন:

আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমি কোনভাবে জানতে পারি কোন রাতটি লাইলাতুল ক্বদর, তাহলে কি দোয়া করব? জবাবে নবী করীম (সাঃ) বললেন, এ দোয়া পড়বে আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুবুন, তুহিববুল আফওয়া, ফাফু আন্নী অর্থ-হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা পছন্দ কর, অতএব আমাকে তুমি ক্ষমা কর। (আহমাদ- ইবনু মাজাহ) কাজেই এ রাতে বিভিন্ন এবাদতের মাঝে মাঝে এ দোয়াটি অবশ্যই বার বার পড়া উচিত। সর্বোপরি এ রাতের তাৎপর্যের কথা মনে রাখতে হবে। এর এত মর্তবা যে কুরআন নাযিলের কারণে, সেই কুরআনের হক আদায়, কুরআনের আলোকে নিজের বাস্তব জীবনে পর্যালোচনা এবং কুরআনের বর্ণিত মুমিনের গুণাবলি অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে এ সবের জন্য তওফীক চাইতে হবে। রাসূলে করীম (সাঃ) এর নির্দেশানুযায়ী রমযানের শেষ দশকে যথাসাধ্য সর্বাত্মক এবাদতে আত্মনিয়োগ করে লাইলাতুল ক্বদরের মতো মহাসুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি