Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২০ মে, ২০২২ ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

উদ্ভাবনী গল্প -আমার স্বপ্নে আমি

আস-সালামু আলাইকুম।আমি রাবেয়া সুলতানা,সহকারী শিক্ষক,২০নং শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধুখালী,ফরিদপুর।আমার উদ্ভাবনী গল্পে সবাইকে স্বাগতম।আমার উদ্ভাবনী গল্প -"আমার স্বপ্নে আমি"।২০২০ সালে করোনা মহামারির কারনে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন ।দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর  বিদ্যালয় খুলে দিলে দেখা যায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এবং অনিয়মিত।পড়া-লেখার প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিষটি আমাকে ভাবিয়ে তোলে -আমি ভাবতে থাকি কিভাবে শিক্ষার্থীদেরকে পুনরায়  বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা যায়?শুরু করি হোম ভিজিট,ফোনে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা বলা ,মা সমাবেশ। কিন্তু উপস্থিতি খুব একটা বাড়ছিল না ।

আমরা জানি লক্ষ্যহীন জীবন মাঝি ছাড়া নৌকার মতো।তাই শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য স্থীর করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনের জন্য একদিন ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাই বড় হয়ে কে কী হতে চাও?শিক্ষার্থীরা জানায় কেউ ডাক্তার,কেউ ইঞ্জিনিয়ার,কেউ পাইলট ,কেউ বা শিক্ষক হতে চায় ।শুনে খুব খুশি হলাম ।ওদের স্বপ্নটাকে দৃঢ় করার জন্য  বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়।এর ই ধারাবাহিকতায় আমি একটি স্বপ্ন বৃক্ষ তৈরি করি ,নাম দেয় "আমার স্বপ্নে আমি"।এ জন্য আমি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ছবি তুলে ফটোশপের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে যে যা হতে চায় সে আনুযায়ী তৈরি করি।শিক্ষার্থীদের অরিজিনাল ছবি এবং এডিট করা ছবি পাশাপাশি রেখে প্রিন্ট করি ।উভয় পাশে একই ছবি রেখে তা লেমেনিটিং করি।গাছের ডাল এবং প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে স্বপ্নবৃক্ষ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় সুতার সাহায্যে ছবিগুলো গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেই ।গাছটি শ্রেণি কক্ষের এক কর্ণারে রেখে দেয়।তা দেখে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগন খুব খুশি হন।অভিভাবকগন তাদের সন্তানকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাতে এবং সন্তানের লেখা-পড়ার প্রতি অধিক যত্নবান হন ।

আস্তে আস্তে শিক্ষার্ঠীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে এবং তারা পড়া-লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠে।আমার একাজে প্রাধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকের সহযোগীতা পাই।উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার খুব খুশি হন।

আশা করছি এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ও শিক্ষার মান উভয় বৃদ্ধি পাবে।

সকলকে ধন্যবাদ।