এবার কিশোরগঞ্জের হাওড়ের ছয়টি উপজেলার পঁচিশটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ইটনার ধনু নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হয়ে শনিবার দুপুরের মধ্যে এসব এলাকার গ্রাম, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গতদের আশ্রয়
কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, ইটনা উপজেলার ৫টি এবং মিঠামইন উপজেলার ৭টি
ইউনিয়নের সবকটি, অষ্টগ্রামের ১টি, নিকলীর তিনটি, করিমগঞ্জের পাচঁটি এবং
তাড়াইল উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে পানি ঢুকতে শুরু
করেছে। দুর্গত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত
রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা প্লাবিত গ্রামগুলোতে
ইতিমধ্যে ১৪৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে ত্রাণবিতরণ কার্যক্রম শুরু করা
হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। দেখা দিয়েছে গবাদি পশু খাদ্য এবং তাদের আশ্রয় সংকট।কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান
জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ হাওড়ের উপর প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি গত ২৪
ঘণ্টায় বিপৎসীমার তিন ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এমনভাবে পানি বৃদ্ধি
অব্যাহত থাকলে অবস্থার আরও দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন
তিনি।কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান,উজান থেকে নেমে আসা
ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওড়ের প্রত্যেক জায়গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ
পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে
সমন্বয় করে কাজ শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরের পর এসব দুর্গত এলাকা তিনি
পরিদর্শন করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।