Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৭ জুন, ২০২২ ০৩:৩১ অপরাহ্ণ

মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন

শিক্ষাকে মানুষের সর্বজনীন গুণাবলির বিকাশ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসাবে গণ্য করা হয়। উন্নত দেশগুলো মানসম্মত ও সুষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য, শিল্পকলা, কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে সাফল্য অর্জন করে চলেছে।

বাংলাদেশও এ লক্ষ্যে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বহুমাত্রিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গুণগত শিক্ষার অপরিহার্য পূর্বশর্তগুলোর একটি হচ্ছে অধিক বিনিয়োগ। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ অপর্যাপ্ত। তাছাড়া এ কথাও অনস্বীকার্য, বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে খরচ করা হয় না।

জাতীয় বাজেটে সামগ্রিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মাত্র ০.৯২ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষা উপখাতে বরাদ্দ মাত্র ০.১২ শতাংশ, যা সার্কভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান জাতীয় বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে ২০২২ সালের মধ্যে ২ শতাংশে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ শতাংশে উন্নীত করা আবশ্যক। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের বর্তমান বরাদ্দ ৮ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মূল বাজেটে শিক্ষা খাতে ৬৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৮ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা খাতে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল মোট ব্যয়ের ১১.৬৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত কয়েকটি বাজেটে শিক্ষা খাতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপির তুলনায় তাতে খুব বেশি হেরফের হয়নি।

এ কথা অনস্বীকার্য, শিক্ষা খাতের বরাদ্দ হলো উন্নত জাতি গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ। অথচ এ খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তাতে শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করা তো দূরের কথা, দেশীয় মানটাও ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

ইউনেস্কো গঠিত ‘একবিংশ শতাব্দীর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষা কমিশন’ তথা দেলরস কমিশন প্রতিবেদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ বাংলাদেশে ৫ ডলার, শ্রীলংকায় ১০ ডলার, ভারতে ১৪ ডলার, মালয়েশিয়ায় ১৫০ ডলার এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬০ ডলার।

গুণগত শিক্ষা কোনো একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অর্জনের আশা করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন অনেকগুলো উপাদানের সমন্বিত ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও কর্মকাণ্ড। গুণগত শিক্ষার জন্য যেসব উপাদানের যথাযথ সমন্বয়সাধন করতে হয় সেগুলো হচ্ছে-আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান সামগ্রী ও ভৌত অবকাঠামো, যথার্থ শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি, উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি, ধারাবাহিক পরিবীক্ষণ ইত্যাদি। শিক্ষার সব স্তরে গুণগত মান অর্জনের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সুপারিশগুলোর আলোকে আসন্ন বাজেট ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং নীতিনির্ধারণ করা জরুরি।

যে কোনো পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণের পর একজন চাকরিপ্রত্যাশী যাতে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, তা নিশ্চিত করা দরকার। শিক্ষিত হয়ে কাউকে যাতে বেকার থাকতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থানের সঙ্গে মিল রেখে পাঠ্যসূচিতে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে যদি উচ্চশিক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, শিক্ষকদের অব্যাহত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা যায়; শিক্ষার পুরো প্রক্রিয়াকে সমৃদ্ধ করা যায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার হারের ঊর্ধ্বগতির সুফল আমরা পাব।

কয়েক বছর পরপর শিক্ষাক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে হয়, এটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে এ পরিবর্তন যেন অর্থবহ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে আগামী দিনে জ্ঞানের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেভাবে তাদের গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে উচ্চ আয়ের যে লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কাঙ্ক্ষিত সময়ে সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নৈতিকতাবিষয়ক সংকট এখন সমগ্র বিশ্বেই এক বড় সমস্যা হিসাবে বিবেচিত। আমাদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের প্রবণতা বেড়েছে।

নানা কারণে নৈতিকতা চর্চায় অনেক আগ্রহ কমেছে। এটা চিন্তার বিষয়। উচ্চ নৈতিকতা ও উন্নত মূল্যবোধের সঙ্গে শিশুরা যাতে ভালোভাবে পরিচিত হতে পারে, সেজন্য প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকেই যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হওয়ার আগেই শিশু যাতে উচ্চ নৈতিকতা ও উন্নত মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, সেজন্য মা-বাবাসহ পরিবারের অগ্রজ সব সদস্যকে সতর্ক থাকতে হবে।

শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত করানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আশার কথা হলো, ইতোমধ্যে এবিষয়ক অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আধুনিক জীবনযাপনের অপরিহার্য অন্যান্য প্রযুক্তির সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের পরিচিত করানোর উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নত দেশের শিশুরা একেবারে শৈশবে স্কুলে যাওয়ার আগে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পরিবারেই পেয়ে থাকে। আমাদের দেশে এ ধরনের সুযোগ সীমিতসংখ্যক পরিবারের শিশুরা পেয়ে থাকে। এটি বিবেচনায় রেখে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থায় STEM-এর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। S মানে সায়েন্স, T মানে টেকনোলজি, E মানে ইংলিশ, M মানে ম্যাথমেটিকস। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী যে বিভাগেই অধ্যয়ন করুক না কেন, তাকে এ চারটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে আত্মস্থ করতে হয়। আজকের যুগে প্রযুক্তি ছাড়া জীবনধারণের কথা কল্পনাই করা যায় না। এজন্য কম্পিউটার সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এসব বিষয়ের মৌলিক দিকগুলো সম্পর্কেও অল্পবয়সি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ধারণা থাকা দরকার।

বিভিন্ন গবেষণায় প্রতীয়মান, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে দক্ষতার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই। অপচয়ের হার কমিয়ে দক্ষতার মান বাড়াতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজনিম্নকে সত্যিকারের মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায়।

গুণগত শিক্ষার জন্য যে উপাদানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষক। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সব শিক্ষকের জন্য বুনিয়াদি ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কর্মরত শিক্ষকদের জন্য কর্মকালীন প্রশিক্ষণ এবং প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সঞ্জীবনী কোর্সের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং একই সঙ্গে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত বেতনভাতা দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা ও পেশাগত স্বাধীনতা দিতে হবে।

সার্কভুক্ত ভারত, শ্রীলংকা এবং উন্নত দেশের মতো শিক্ষকদের সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ, মেয়াদি/বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণে সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই মর্মে একটি নীতিমালা বা পরিপত্র জারি করা প্রয়োজন যে, সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব শিক্ষককে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।

দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি জাতীয় উন্নয়নের চাবিকাঠি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে নিত্যনতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের ফলে উন্নয়ন কৌশল ও পদ্ধতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পেশার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে এবং বিদ্যালয়ের পঠিত বিষয় হিসাবে একে বাধ্যতামূলক করতে হবে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যুক্তিসংগত অনুপাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সম্মুখে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কী সমস্যার সৃষ্টি করে, তা সহজেই অনুমেয়।

এজন্য পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে ঘটে বিপর্যয়। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত একটি যুক্তিযুক্ত সীমার মধ্যে রাখতে হবে, যা প্রাথমিক স্তরের জন্য ১:৩০, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য ১:৪০ এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ১:২৫-এর বেশি হবে না। প্রতিবছর বিদেশি ঋণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা কতটুকু মানসম্পন্ন এবং লব্ধ প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয় পর্যায়ে কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটা নিবিড়ভাবে মনিটর করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতা প্রয়োগে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

করোনার কারণে সারা দেশে ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষা গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। এর ক্ষতি ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারি। আসছে অর্থবছরে শিক্ষা খাতের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, করোনার কারণে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের আয় কমে গেছে, এই শিশুরা পুষ্টি ঘাটতিতে পড়েছে। করোনার কারণে বাল্যবিবাহ ও ঝরে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। শিশুশ্রমও বাড়ছে।

এ বিপর্যয় রোধে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা আবশ্যক। উপরন্তু ইউনেস্কো গঠিত দেলরস কমিশন প্রতিবেদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাপ্ত মোট বৈদেশিক সহায়তার ২৫ শতাংশ অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যয় করার জন্য যে সুপারিশ করা হয়েছে, বাংলাদেশকে তা মেনে চলতে হবে। এ সংক্রান্ত সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার গুণগত ও পরিমাণগত দিক সুষম ও সুসংহত হবে।

শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, বিষয়ে বৈচিত্র্য আনয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নবতর জ্ঞানের দিগন্ত উন্মোচন এবং উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুসংহতকরণ এবং চতুর্থ শিল্পবিল্পবের বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার যৌথভাবে বহুমাত্রিক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। তবেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হতে পারবে। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এটাই মুজিববর্ষের প্রত্যাশা।


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি