Loading..

প্রকাশনা

২৯ জুন, ২০২২ ০৭:৪৪ অপরাহ্ণ

চাকরি ছাড়ার সময় যে ৭টি বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

চাকরি ছাড়ার সময় যে ৭টি বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

চাকরি আপনি ছাড়বেনই, সেটা আজকে হোক কিংবা দশবছর পরএটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ না করে কীভাবে চাকরি ছাড়তে পারেন? কারণ আপনাকে ফিরতে হতে পারে, অনেকেই এক্সিকিউটিভ হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, পরে সেখান থেকে আরও অন্য জায়গায় কাজ করে সেই প্রতিষ্ঠানেই সিইও হিসেবে এসেছেন। ফিরে আসার কথা বাদই দিলেন, কমপক্ষে রেফারেন্স তো দরকার হতে পারে।

বেশিরভাগ মানুষ চাকরি শুরুর দিন যেমন ভাবে না যে এই চাকরি এক সময় ছেড়ে দিবেন, আবার চাকরি ছেড়ে দেয়ার সময় তাদের মাথায় থাকে না যে এখানে ফিরে আসতে হতে পারে। একজন লিডারের উচিৎ সবটা মনে রেখেই শুরু করা, এমনকি একদিন এই চাকরি ছেড়ে দিবেন সেটাও শুরু থেকেই মনে রাখবেন তিনি।

আচ্ছা, আমরা আমাদের আগের প্রতিষ্ঠান থেকে আসলে কী চাই? এটাই তো চাই যে আমাদের অবদানের কথা আমাদের চাকরিদাতা এবং সহকর্মীরা ভাবুক, এবং তারা সুযোগ পেলে যেন আমাদের ফিরে আসাকে স্বাগত জানায়। এই সবই সম্ভব যদি আমরা আমাদের চলে যাওয়াটাকে ঠিক মত সামলাই।

আপনার রিজাইন লেটার পাঠানোর আগে, এমনকি আপনি আর একটা চাকরি যখন খুঁজতে যাচ্ছেন তখন থেকেই এই ৭টি নিয়ম মেনে চলতে পারেন:

#
. ঠিক করুন যে সম্মানের সাথে চাকরিটা ছাড়বেন

আপনার সুপারভাইজার সহকর্মীদের কিংবা কোম্পানির সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না।পৃথিবীটা ছোট, চাকরি বাজার আরো ছোট। এখানে খারাপ আচরণের কথা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কে জানে আপনি আজকে যার সাথে কাজ করছেন, হয়তো একসময় তার জন্য কাজ করবেন। আপনি চাকরি কীভাবে শুরু করলেন তার চেয়ে চাকরি কীভাবে ছাড়লেন সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
.

#
. আপনার বর্তমান চাকরি ছাড়ার ব্যয় চিন্তা করেন

বেড়ার অন্য পাশের ঘাস সবসময়ই বেশি সবুজ, কিন্তু আমরা যেটা ভুলে যাই যে পাশের ঘাসও কাটতেই হয়।

আপনি হয়তো ভাবছেন এই ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারগুলি বুঝতে পারছে না, কিন্তু আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই যে বুঝবে সেটা আপনি ভাবছেন কেন?

সব জায়গায়ই এমন লোক থাকবে। হ্যাঁ অবশ্যই আপনি ভালো সম্ভাবনার দিকে যাবেন। আপনার চাকরি ছাড়ার উদ্দেশ্য যেন না হয় খারাপ কিছু থেকে সরে যাওয়া, বরং আপনার উদ্দেশ্য হতে হবে ভালো কোনো কিছুর দিকে যাওয়া।
.

#
. আপনার নিয়োগকর্তাকে আপনার সমস্যা বোঝার সুযোগ দিন

আপনার প্রথমেই জানতে হবে আপনার বর্তমান কাজের সমস্যাগুলি কী? আপনার বস, সহকর্মী, সিস্টেম, নাকি গোটা কোম্পানি?

আপনার সুপারভাইজারকে না বললে তিনি তো আর জানবেন না আপনার সমস্যা কী বা কোথায়। হয়তো আপনাকে অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টে দিল, দেখা গেলো সেখানে আপনি কাজ করে আনন্দ পাচ্ছেন।

অবশ্য তারা আপনাদের সমস্যা জানলেই যে সমাধান করে ফেলতে পারবেন তা হয়তো নাকিন্তু আপনার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে জানলে আপনার বদলে অন্য কাউকে তারা ঠিক করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন।
.

#
. আপনার কমিটমেন্ট এবং নিয়োগকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন

আপনার সাথে কোম্পানির কোনো লিখিত চুক্তি থাক না থাক আপনার সাথে নিয়োগকর্তারডিউটি অফ লয়ালিটিবলে একটা ব্যাপার আছে। এর মানে হচ্ছে আপনাকে একদিনের ন্যায্য মজুরির জন্য আপনাকে একদিনের ন্যায্য কাজ করতে হবে।

আপনি আপনার বদলে যে আসবে তার জন্য সব এলেমেলো করে রেখে যাবেন না।
.

#
. অফিস ইমেইল ব্যবহার করে বা অফিস টাইমে অন্য চাকরি খুঁজবেন না

এসব করা একধরনের ফাঁকিই। আপনাকে কোম্পানি বেতন দিচ্ছে তার কাজের জন্য, তার ইমেইলও তার কাজের জন্যই দেয়া।

বিশেষ করে অফিস ইমেইল ব্যবহার করার সময় খুব সাবধান থাকবেন। কোম্পানির সার্ভারে কিন্তু আপনার ইমেইল বেশ কয়েক বছর থেকে যায়। আপনি হয়তো লোকালি ডিলিট করতে পারেন, তারপরও সার্ভারে থেকে যায়। এসব পরে আপনার জন্য অনেক সমস্যা করতে পারে।
.

#
. সম্ভাব্য চাকরিদাতার কাছে বর্তমান কোম্পানির তথ্য শেয়ার করবেন না

ব্যাক্তিগত লাভের জন্য কোম্পানির মূল্যবান তথ্য শেয়ার করা বড় অপরাধ। আর যে আপনাকে চাকরি দিবে তার কাছে দেয়া রীতিমত চৌর্যবৃত্তি। যারা এমন তথ্য দিতে ইচ্ছুক তাদের অন্য কোম্পানিও ভালো চোখে দেখবে না।
.

#
. কোম্পানি ছাড়ার জন্য অন্যদের উস্কানি দেবেন না

আপনি যদি ভালো কর্মী হন, আপনাকে ছাড়তে এমনিতেই আপনার বসের সমস্যা হবে, আর মাঝে আপনি যদি আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সেটা বসের জন্য রীতিমত অপমানজনক।

আর আপনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে আপনার সুপারভাইজারের সাথে আলোচনার আগে সহকর্মীদের জানতে দিবেন না।

আপনি এমন ছোটখাট কিছু ব্যাপার মেনে চললেই আপনার চাকরি ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা অযথা কোনো বৈরীতা তৈরি করবে না।

সৌঃ সি বি

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি