সহকারী শিক্ষক
২৯ জুন, ২০২২ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
কবিতা
৫। এক মুক্তিযোদ্ধার কথা
মোছাঃ কামরুন নাহার
১৯৭১ সাল,মার্চ মাস অবিস্মরনীয় সেই সময়
সারা দেশ তখন রণক্ষেত্র—
পাকিস্তানি শোষক হানাদার বাহিনিকে পরাজিত করতে
সর্বস্তরের মানুষের ঢল,দল বল
নির্বিশেষে
দেশের টানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
তাদের বুকেছিল রক্তের টগবগে আগুন
তারা দেশকে পরাধীনতা দেখতে চাই নি—
তারা চেয়েছিল ,আমার মাতৃভুমিকে বুকে আগলে
রাখতে
আমাদের দেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে ঠাই দিতে।
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি ,আমার তখন জন্ম ও
হয়নি
আমি শুধু নিঃস্তব্ধ হয়ে তার মনের আকুতিগুলো
অবলীলায় নির্বাক হয়ে শুনছি—যাকে নিয়ে ভাবছি
যার অনুকরনীয় আদর্শ বুকে লালন করে জীবনযুদ্ধে হাটছি ।
সে কেউ না ,সে- ই আমার বাবা----
আমার বাবা এমন এক মানুষ,যাকে নিয়ে আমি
দেশের মাটিতে
গর্ব করে বলতে পারি ,আমিও যে তোমার
সন্তান
এক মুক্তি পাগল ঘরের মেয়ে---
দেশের জন্য যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে অনেক মুক্তিসেনা
কারও কথা হয়তো ইতিহাসে আছে,আবার কারো কথা
কেউ জানে না
আমার বাবা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধা
তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পরও
তার মনের যে আকুতি,তিনি বলতে চায়,জানাতে চায়
যাতে নব প্রজন্ম জানুক,মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস,
মুক্তিযুদ্ধকে লালন করে,এই দেশকে
ভালোবাসতে শিখুক।
আমি তার সন্তান,তাকে বুঝতে পারি –কারন,
তার রক্তের প্রতিটি ফোটা আমার দেহে সঞ্চায়িত হয়
তার অজানা কিছু মুহুর্ত,কিছু স্মৃতি—
আজ ও মনের মধ্যে চাপা পড়ে রয় ।