Loading..

ভিডিও ক্লাস

০১ জুলাই, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ণ

টাকা জমানোর সহজ ১০টি টিপস

টাকা জমানোর সহজ ১০টি টিপস

বাজেট ঠিক করে খরচ চালানোর কথা শুনতে যতটা সহজ কাজটা তত সহজ নয়। তবে আবার এতটা কঠিনও না যে মাসের খরচের হিসাব রাখতে একজন অ্যাকাউন্টেন্ট দরকার পড়বে আপনার। নিচের কিছু সহজ টিপস মেনে নিজের বাজেট নিজেই করতে পারবেন আপনি। তাতে করে প্রতি মাসে সঞ্চয় যেমন হবে, সঙ্গে শখও পূরণ করতে পারবেন।

#
. ধার পরিশোধে মনোযোগ দিন

অনেক বেশি ধার থাকলে সঞ্চয় করা কঠিন। তাই বাজেট করার আগেই এমন পরিকল্পনা করতে হবে যাতে ধারগুলি ধীরে ধীরে পরিশোধ করা যায়। যত দ্রুত সব ধরনের ধার থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন টাকা-পয়সার বিষয়গুলি আগের থেকে সহজ হবে তত।

#
. এক সপ্তাহের জন্যে আপনার খরচপাতি খেয়াল করুন

মাসের পর মাস খরচের হিসাব জমিয়ে রাখবেন না। এক সপ্তাহের জন্যে কোথায় কী খরচ করছেন বিস্তারিত লিখুন। তাতে করে বুঝতে পারবেন, কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে। ক্ষতিকর কোনো অভ্যাস খুঁজে পেলে তা আপনাকে অপচয় থেকে রক্ষা করবে।

#
. প্রযুক্তির সাহায্য নিন

যদি আপনার লিখে লিখে হিসাব রাখার অভ্যাস না থাকে তাহলে বাজেটিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অসংখ্য বাজেটিং অ্যাপ পাবেন অনলাইনে। সেগুলি আপনার নিত্যদিনকার খরচের হিসাব রাখবে এবং কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে কোথায় সবচেয়ে কম একটা নির্দিষ্ট সময় পরে তাও দেখাবে। কোনো কোনো অ্যাপ থেকে কোথায় খরচ কমাতে হবে সে পরামর্শও পেতে পারেন আপনি।

#
. সবচেয়ে সমস্যা সঙ্কুল ৩টি ক্ষেত্র খুঁজে বের করুন

প্রতিটা জিনিস আলাদা আলাদা হিসাব না করে ক্যাটেগরি বা বিভাগ অনুসারে হিসাব করুন এবং সবচেয়ে বেশি সমস্যা আছে এমন ৩টি জায়গা খুঁজে বের করুন। যদি দেখেন বাজেটের অর্ধেকই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে হাবিজাবি সব জিনিসে সেগুলি আগে চিহ্নিত করুন। এই সতর্কতা আপনাকে যেকোনো বাজেটিংয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়াতে সাহায্য করবে।

#
. মুনাফা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

খুঁজে পাওয়া সব বাজে অভ্যাস একসঙ্গে বাদ দিতে গেলে দেখা যাবে তাতে আপনি লক্ষ্য হারিয়ে ফেলছেন। তার চেয়ে ফোকাস ঠিক রেখে একটার পর একটা গোল তৈরি করুন। ধরুন, প্রথম মাসে কোন কোন খাতে খরচ বেশি হচ্ছে তা খুঁজে বের করলেন। পরের মাসে কোনো একটা খাতে খরচ কমিয়ে সেভিংস গোল তৈরি করলেন। তার পরের মাসে আরেকটা খাতে মনোযোগ দিলেন খরচ কমানোর।

#
. কেনাকাটার ক্ষেত্রে আগে লিস্ট করুন

কেবল ডিম আর দুধ কিনতেও যদি বাজারে যান, আগে একটা লিস্ট বানিয়ে নিন। এটা আপনাকে কী কিনতে হবে আর কী কিনছেন সে বিষয়ে সচেতন করে তুলবে। এমনকি যখন লিস্টের বাইরে কিছু কিনবেন তা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করবে।

#
. আগে জমান পরে খরচ করুন

রকম আপনি প্রায়ই শুনবেন, যা আছে আগে খরচ করেন, পরে যা হবার হবে। এগুলি কোনো কাজের কথা না। আপনি বরং উল্টাটা করে দেখতে পারেন। মাসের শুরুতেই যা জমানোর তা জমিয়ে রাখুন। এভাবে আপনার বাড়তি খরচের অভ্যাস কমাতে বাধ্য হবেন।

#
. অটোমেটিক সেভিংস

ব্যাংকে অটোমেটিক মান্থলি ট্রান্সফারের সুবিধা পাবেন আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মধ্যে। সঙ্গে অন্যান্য সেভিংস প্ল্যানও পাবেন। এই অপশনগুলি ব্যবহারে আপনার লাভ যেটা হবে, প্রতি মাসেই কিছু না কিছু সঞ্চয় হবে।

#
. আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট করুন

ফিন্যান্সিয়াল এক্সপার্টরা আয়কে কয়েক ভাগে ভাগ করার পরামর্শ দেন। এর একটা জনপ্রিয় পদ্ধতি ৫০-২০-৩০ রুল। যেটাতে বলা হয়, আয়ের ৫০% প্রয়োজনীয় জিনিসে খরচ করতে, ২০% দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ে, এবং ৩০% লাইফস্টাইলের নানা খরচে। সেক্ষেত্রে আপনার আয় ভাগ করে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন।

#
১০. বাজেট করতে অন্যের সাহায্য নিন

নিজের বাজেট তৈরি এবং সেটা মেনে চলা আপনারই দায়িত্ব। কিন্তু বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য পেলে কাজটা করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নিজের সেভিংস গোল অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করুন, তাদেরও পরামর্শ দিন। বলা যায় না, তারা হয়ত উল্টা আপনাকে আরো কোনো ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।

বাজেট করতে গিয়ে অনেকেই নিজ নিজ বুদ্ধিমত্তা উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেন। আপনার নিজের জানা কোনো বাজেট টিপস শেয়ার করতে পারেন কমেন্টে।

সৌঃ সি বি