সহকারী শিক্ষক
২১ জুলাই, ২০২২ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ
পদ্মা সেতু
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: অষ্টম
বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
অধ্যায়: চতুর্থ অধ্যায়
পদ্মা সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৩.৪৪৪৩° উত্তর ৯০.২৬১০° পূর্ব |
বহন করে | যানবাহন, ট্রেন |
অতিক্রম করে | পদ্মা নদী |
স্থান | মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা |
রক্ষণাবেক্ষক | বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ |
ওয়েবসাইট | www |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | এইসিওএম |
উপাদান | কংক্রিট, স্টিল |
মোট দৈর্ঘ্য | ৬.১৫ কিলোমিটার (২০,২০০ ফুট) |
প্রস্থ | ১৮.১৮ মিটার (৫৯.৬ ফুট) |
ইতিহাস | |
নকশাকার | এইসিওএম |
নির্মাণকারী | চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ |
নির্মাণ শুরু | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ |
নির্মাণ শেষ | ২৩ জুন ২০২২ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ[১][২] |
উদ্বোধন হয় | ২৫ জুন ২০২২ |
চালু | ২৬ জুন ২০২২ |
অবস্থান | |
পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।[৩]
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।[৪] পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় তৈরি সেতুটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, প্রতিটি স্প্যান লম্বায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট)। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (৩.৮২ মাইল)।[৫][৬][৭][৮][৯][১০] এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।[১১]
সেতুটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]