Loading..

খবর-দার

৩১ জুলাই, ২০২২ ১১:০৩ অপরাহ্ণ

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন যেভাবে

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন যেভাবে

আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোকদিবসে যথাযথভাবে ভাবগাম্ভীর্য সঙ্গে পালন করতে হবে সব সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অফিসগুলোকে। এদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অফিস গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দিবসটির সাথে সঙ্গতি রেখে আলোচনা সভা, কবিতাপাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে হবে। অপরদিকে মাদরাসাগুলোতে হামদ নাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে শোক দিবসে। 

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথভাবে আদর্শের সাথে পালনে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সভার কার্য বিবরণী থেকে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এবং সব অধিদপ্তর, সংস্থা, দপ্তর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জেলা তথ্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শোক দিবসের পোস্টার সংগ্রহ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচারের ব্যবস্থা করবে। যাদের এলইডি বোর্ড আছে তারা এলইডি বোর্ড এর মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করবে।

সকল দপ্তর বা সংস্থার কার্যালয়ের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রেখে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। ব্যানারগুলো পুরো আগস্ট মাস প্রদর্শন করা যেতে পারে। বিবর্ণ, ছেড়া ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার বিবর্ণ হলে প্রয়োজনে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পোস্টার এবং ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি ব্যবহার করা যাবে না। মন্ত্রণালয় থেকে ব্যানারের নমুনা তৈরি করে সব দপ্তর, সংস্থায় পাঠানো হবে। দপ্তর, সংস্থা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর এবং সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আগস্ট মাসব্যাপি কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে  সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে। আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রস্তুতি নেয়ার সুবিধার্তে নির্ধারিত দিনের আগেই জানাতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামদ-নাত প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক গ্রুপে বিভক্ত করে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে এবং পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করতে হবে। 

সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কর্মসূচির আলোকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে জন্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে।

সকল সংস্থা ও দপ্তর তাদের সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করবে। মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে।আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। 

জাতীয় কর্মসূচির আলোকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনের অধীনস্থ সক্রিয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রেখে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। জাতীয় কর্মসূচির আলোকে মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর, সংস্থা, দপ্তরগুলো স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারগারের রোজনামচা, সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার দেখা নয়া চীন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক শিশুদের জন্য প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক সব গ্রন্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রয় ও পাঠের ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, কৃতী শিক্ষার্থীদের উপহার হিসাবে প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন বইগুলো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর রচিত বইগুলো ক্রয় করতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে অসচ্ছল তা যাচাই-বাছাইপূর্বক তার তালিকা প্রণয়ন করে সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সংখ্যক প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই সরবরাহ করার জন্য সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের প্রতি অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসব বই কোন শিক্ষা বোর্ড কতটি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে তার একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বঙ্গবন্ধুর ওপর আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক একটি অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও পরিচালনায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্টুডিওর মাধ্যমে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেকর্ড করে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।(সংগৃহীত)