Loading..

প্রকাশনা

০২ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:৩৭ অপরাহ্ণ

হালখাতা উৎসব

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা পুরনো বছরের আয়-ব্যয় ও বাকি বকেয়ার হিসাবনিকাশ শেষ করে নতুন বছরের জন্য হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। এ উপলক্ষে পুরনো ও নতুন ক্রেতা-গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাতাসা, রসগোল্লা, জিলাপিসহ নানারকম সুস্বাদু মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে। একটা উৎসবের পরিবেশে দিনটা কাটে। এটাই হালখাতা উৎসব।


নামের শব্দগত অর্থের বিচারেও 'হালখাতা' কথাটির তাৎপর্য আমরা বুঝে নিতে পারি। 'হাল' অর্থ চলতি বা বর্তমান। পুরনো মেয়াদ শেষে বর্তমানের জন্য যে খাতা, সেটাই হালখাতা। সুতরাং হালখাতা হচ্ছে নতুন বছরে নতুন করে শুরু করা। এই বিষয়টি ব্যবসায়ীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিদায়ী বছরটি তাদের কেমন কাটল, আগামী বছরে ব্যবসা প্রসারের সম্ভাবনা কী, হালখাতা উৎসবে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আলোকে এ


বিষয়গুলোই ধরা পড়ে। হালখাতা উপলক্ষে শহর বন্দরের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে উৎসবের ছোঁয়া লাগে। ক্রেতা-গ্রাহকরাই ব্যবসায়ীদের মূল লক্ষ্য। হালখাতা উৎসবের মধ্য দিয়ে এই দুই প্রান্তের ব্যক্তিদের মধ্যে লেনদেনের সম্পর্ক ও যোগসূত্র আরও গভীর হয়।


বাংলা নববর্ষ পালন শুরু হয় মোগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। সেই যুগে বাংলার কৃষকদের খাজনা পরিশোধের শেষ তারিখ ধরা হত চৈত্রমাসের শেষ দিন। এর আগে হেমন্তে কৃষকের গোলায় ধান ওঠে, প্রজারা কিছুটা সচ্ছল থাকে। খাজনা পরিশোধের পরদিন নববর্ষে জমিদার, জোতদার ও ভূস্বামীরা প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ সময় মেলা হত বছরের প্রথম দিনটি আনন্দ উৎসবে কাটত। তখন থেকেই নববর্ষের মূল উৎসব হিসেবে হালখাতা উৎসবের প্রচলন ঘটে। সেই ধারাটি আজও চলছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় এই উৎসব পালিত হয়।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি