Loading..

খবর-দার

২০ নভেম্বর, ২০২২ ০৭:৩৫ অপরাহ্ণ

জীবনযাপন শিক্ষাব্যবস্থায় ‘প্যারেন্টিং কোর্স’ থাকা দরকার


পরবর্তী সময়ে শিশু নানা অভিজ্ঞতা এবং সেই অভিজ্ঞতার প্রতিফলনে বিভিন্ন অনুভূতির মাধ্যমে চারপাশের বিশ্বকে উপলব্ধি করতে শুরু করে; অর্থাৎ একটি শিশু জন্মের পর ভবিষ্যতে কেমন হবে, তা নির্ভর করে সে কোন ধরনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বড় হয়েছে এবং কীভাবে প্রতিপালিত হয়েছে তার ওপর। তাই একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য সেই শিশু কোন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের কাছেই শিশুর এই অভিজ্ঞতা অর্জন বা শিক্ষার প্রথম হাতেখড়ি হয় এবং সন্তান প্রতিপালনে মা-বাবা সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত থাকেন, তাই এ ব্যাপারে তাঁদের সচেতন থাকা খুব জরুরি। কোন ধরনের অভিজ্ঞতা শিশুর জন্য উপযুক্ত, কী কী উপায়ে শিশুকে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করানো যায়, কীভাবে তার সঠিক ও পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব, এসব তো প্রত্যেকেরই জানা উচিত। প্রতিটি শিশু স্বতন্ত্র। সন্তানের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বোঝা, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিক পথে পরিচালনা করা মা-বাবা, স্বজনদের কর্তব্য। আর এর জন্য সবারই উচিত ‘প্যারেন্টিং’ বা সন্তানের দেখভাল সম্পর্কে ধারণা রাখা। বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও এনজিও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে প্যারেন্টিং কোর্স পরিচালনা করে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক পর্যায়েও এর বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

তাই শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের সুযোগ কখনো পেলে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সবার জন্য প্যারেন্টিং কোর্স চালু করার ব্যবস্থা করতাম।

পাঠক, সুযোগ পেলে আপনি লেখাপড়ার কোন নিয়মটা বদলে দিতেন? লিখে পাঠাতে পারেন এই ইমেইলে: [email protected]। নির্বাচিত লেখাগুলো প্রকাশিত হবে প্রথম আলোয়। লেখার সঙ্গে আপনার পুরো নাম, পরিচয়, ফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে। পাঠাতে হবে আপনার ছবি।