Loading..

ম্যাগাজিন

২২ নভেম্বর, ২০২২ ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ

শিক্ষায় ইন্টারনেটের উপকারিতা।

শিক্ষায় ইন্টারনেটের উপকারিতা

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করারা ফলে শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়ে আসছে। নিচে শিক্ষায় ইন্টারনেনেট ব্যবহারের উপকারিতা কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে জানানো হলো-

১. ইন্টারনেট শিক্ষা প্রদান বহুলাংশে সাশ্রয়ী

ইন্টারনেনেটর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে শিক্ষা প্রদানের খরছ অনেক আংশে কমে গেছে। অনেক কম খরচে ইন্টারনেট পরিসেবা উপলব্ধ হওয়ার ফলে শিক্ষা মাধ্যমে এর ব্যপক ব্যবহার সম্ভব হয়েছে। 

এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিনামূলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। যার ফলে যেকোনো ধরনের অর্থনিতির স্তরের মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে ইন্টানেটের মাধ্যমে। 

এছাড়াও পড়াশোনার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন গাইড বা সমাধান পত্র যেটা নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। তবে ইন্টারনেট এই বিষয়টি অনেক সহজ করে দিয়েছে। 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলে প্রায় সকল শ্রেণির গাইড বা সমাধান পত্র পাওয়া যায়। কম ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথবা পরিচিত কারো WiFi দিয়ে সেই গাইড গুলো PDF আকারে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অনেক সাশ্রয় হয়। 

২. উন্নতম মানের শিক্ষার পদ্ধতি

ইন্টারনেনেটর মাধ্যমে অসখ্য উন্নতম মানের টিউটেরিয়াল ওয়েব সাইট রয়েছে যেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো বিষয়ে জ্ঞন অর্জন করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের লার্নিং টুল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন শিক্ষার সামগ্রী বা মেটেরিয়াল সংগ্রহ করে নিতে পারে। 

এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষগত বিভিন্ন প্রকার শিক্ষানীয় ভিডিও বা ক্লাস খুব সহজেই ছাত্রদের কাছে পৌছে দিতে পারে। 

৩. নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষক- ছাত্র সংযোগ

আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে স্কুল বা কলেজে পাঠ দান শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ছাত্রদের পড়াশোনা বিষয়ে যদি কোনো ঘটকা থাকতো তা সমাধানের জন্য পরবর্তী ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। যার ফলে ছাত্রদের সময় এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ দুটই হাড়িয়ে যেত। 

কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যম চলে আসার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আধুনিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে যোগাযোগ করে যেকোনো সমস্যার সামাধান করে নিতে পারে। এতে করে শিক্ষক এবং ছাত্রদের সংযোগ ভালো থাকে এবং লেখাপড়ার গতিকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। 

৪. মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার

বর্তমান সময়ে ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্টারনেনেটর মাধ্যমেই অনেক ইন্টারক্টিভ অডিও ভিসুয়াল টিউটেরিয়াল রয়েছে। বিজ্ঞানের গবেষণা অনযায়ী এই দৃশ্য-শ্রাব্য কনন্টেন্ট পড়াশোনা মনে রাখতে বিশেষ ভাবে সাযা্য করে। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। 

৫. সময় উপযোগী তথ্যের উপলব্ধতা 

ইন্টারনেটের মধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য কিছুদিন পর পরই আপডেট হতে থাকে। এজন্য যেকোনো বিষয়ই হোকনা কেন, ইন্টারনেটের মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য মিনিটে মিনিটে নতুন তথ্যের দ্বারা আপডেট হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর কারনে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই তাদের যেকোনো বিষয়ের উপরে নতুন নতুন তথ্য জানতে এবং পড়তে পারে  ইত্যাদি।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি