Loading..

প্রকাশনা

০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:০৭ অপরাহ্ণ

ভয় (Fear)। ফিরোজ আহমেদ, সহকারী শিক্ষক(গণিত), রামভদ্রপুর কে আই আলিম মাদ্রাসা, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
  • ভয় (Fear)
  • আমাদের চোখের লোনা জলে আরেকটি সমুদ্র হোক। সেই সমুদ্রের কী নাম হবে? হাজার হাজার আপনজন হারানোর ব্যাথায় চোখ দিয়ে অনবরত লোনা পানি ঝরছে প্রতিদিন, সেই লোনা পানি দিয়ে তৈরি সমুদ্রের কী নাম দেওয়া যায়? চলে যাচ্ছে প্রতিদিন ১০-১৫ জন মাসুদ, মনির, সায়মা, পুতুল ও রেশমারা। কোনো না কোনো ভাবে। পানিতে ডুবে, সড়ক দুর্ঘটনায়, পুলিশের পিটুনিতে, ধর্ষনে, গণপিটুনিতে, চিকিৎসকদের চরম অবহেলায়। হাজারো পিতা মাতা রোজ কাঁদে তার সন্তানের জন্য। কিন্তু কই চোখের জল তো তাদের ফুরায় না। আমরা এমন একটা দেশে বাস করছি যেখানে মৃত্যুই স্বাভাবিক আর বেচে থাকাটাই অস্বাভাবিক। এ দেশে কি কারও বিচার হয় না? এ দেশে বিচার থাকুক না থাকুক, আছে শুধু ভয়। আমরা সন্তানের পিতা মাতারা যেন একেকটা মানসিক রোগী। ছোট বেলায় যখন সন্তান জন্ম নেয় তখন থাকে এক ধরনের ভয়। দুধে ভেজাল আছে কি না, পানি ঠিকমতো ফুটানো হচ্ছে কি না, বাচ্চা খাট থেকে পড়ে গেলো কি না, এতো অ্যান্টিবায়োটিক খায়ানো ঠিক হচ্ছে কি না, সে অনেক ভয়। আস্তে আস্তে সন্তান বড় হতে থাকে। তখন আরেক ভয়। একা ছাড়া যাবে না, রাস্তায় সাইকেল চালাতে পারবে না, কোনো খেলার মাঠ নেই বাসায় সাইকেল চালাও। এর পর আরেকটু বড় হলে কলেজে যায়। এখন একা ছাড়তে হবেই। শুরু হয় আরেক ভয়। তারা ঠিকমতো কলেজে পৌছালো কি না, রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ি চাপা পড়লো কি না, কেউ অপহরন করলো কি না। অভিভাবকদের মাথায় ভালো চিন্তা আসে না। এই ভয়ের আরেক নাম মানসিক রোগ। সন্তান এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। সেখানেও ভয়। ভালো ছেলেদের সাথে মিশছে কি না, ট্যাবলেট বিক্রি করে কি না, এ রকম হাজারো ভয় উকি দেয়। আজকালকার ছেলে মেয়েরা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে এতেও ভয়, সন্তান নেশা করে কি না। কারণ নেশার উপকরণ আজ নাগালের মধ্যে।
  • কোথায় যাবে আমাদের সন্তানেরা? খেলার মাঠ নেই, বিনোদনের জায়গা নেই, শেষে ভরসা ইন্টারিনেট। ধীরে ধীরে ছেলেমেয়েদের কাছে ছোট হয়ে আসে পৃথিবীটা। তারা দিন দিন হয়ে ওঠে অসামাজিক। মেহমানদের বাসায় যেতে চায় না। ভুল বোঝে আত্মীয় স্বজনরা। কী করবে মা-বাবারা। ঘর থেকে বের হলে কে দিবে এদের নিরাপত্তা...............।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি