Loading..

খবর-দার

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪০ অপরাহ্ণ

অমর কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রচট্টোপাধ্যায়

আজ অমর  কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের মৃত্যু বার্ষিকী। বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি,তার স্মরণে। যে হৃদয় নদীমাতৃক বাংলাদেশের। যে হৃদয় ভালবাসতে জানে, ভালবাসার জন্য সর্বস্ব বাজি রাখতে পারে।  সেই যে কবি বলেছিলেন, ভালবেসে কেউ কেউ খুনি হয়ে যায়। এই হৃদয় ভালবাসার জন্য খুনও করতে পারেন। এই কারণেই এ কথা বলা। যদি কেউ মনে করেন এটা কেবলই বলার জন্য, তা হলে  হৃদয়ের সম্রাটের ওপর অবিচার করা হবে। যেমনটা হয়েছিল তার জীবদ্দশায়, যেমনটা হচ্ছে আজও।


বাঙালির হৃদয় বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। বাঙালি কি তাকে বুঝতে পেরেছিলেন, পুরোটা? বোঝার জন্য কোশেশ কি জারি রেখেছেন? কি একাডেমিক পর্যায়ে, কি চেনা সেই বৃত্তের বাইরে? বলছি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা। ১৯৩৮ সালের আজকের দিনে যিনি বিদায় জানান ইহজাগতিকতাকে। তার ঠিক দুই বছর আগে পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি। বড়ো মুখ করে বলার মতো স্বীকৃতি ও সম্মাননা ছিল এটাই। তার আগে ১৯২৩ সালে পেয়েছিলেন জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, ১৯০৩ সালে পেয়েছিলেন কুন্তলীন পুরস্কার। হৃদয় সম্রাটের এই প্রাপ্তিই বলে দেয় যারা পদক-পুরস্কার ও সম্মাননা দেন তারা প্রতিভা চেনার চেয়ে মানসাঙ্ক বুঝতেই বেশি পারঙ্গম। যে মানসাঙ্কের ধার ধারেন না পাঠক। একারণে যে কথাশিল্পীর পুরস্কার ভাগ্য খরাবেষ্টিত পাঠকপ্রিয়তায় তার বসন্ত যায়নি আমৃত্যু। এ কারণে বাঙালি তাকে অমর কথাশিল্পীর মর্যাদা দিয়েছেন। সত্যসত্যই তিনি ছিলে সেই জয়মাল্যের অধিকারী।