Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

খাবার স্যালাইন বানানোর সঠিক পদ্ধতি।

এমনিতে ডায়রিয়ার জন্য আলাদা কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। পানিশূন্যতা রোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলজাতীয় খাবার খেলেই ডায়রিয়া সেরে যায়। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পথ্য হচ্ছে খাবার স্যালাইন।

ডায়রিয়া এবং বমি থেকে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ রকম পরিস্থিতিতে খাবার স্যালাইন পান করতে হয়। এর উপকারিতা অনেক। শরীরে প্রয়োজনীয় তরল পৌঁছে দিতে সাহায্য করে এই পানীয়। বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট করোনা ডট গভ ডট বিডির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে খাবার স্যালাইন কীভাবে বানাবেন। চলুন দেখে নিই।

-

এমনিতে ডায়রিয়ার জন্য আলাদা কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। পানিশূন্যতা রোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলজাতীয় খাবার খেলেই ডায়রিয়া সেরে যায়। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পথ্য হচ্ছে খাবার স্যালাইন বা Oral Rehydration Salt (ORS)বাজারে যে ORS বা স্যালাইন পাওয়া যায় সেটা হলো শরীরের জন্য জরুরি কিছু লবণের শুকনো মিশ্রণ, যেটাকে বিশুদ্ধ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। যেহেতু স্যালাইন শরীরের পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করে, তাই এটি সঠিক পরিমাণে হওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে ওরস্যালাইন শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

-

কীভাবে বানাবেন স্যালাইন?

শুরুতে অবশ্যই দুই হাত, স্যালাইন বানাবেন যে পাত্রে সেটি এবং চামচ ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

প্রথমে পাত্রে ২ পোয়া বা আধা লিটার বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে।

তাতে প্যাকেটের পুরো মিশ্রণটিই ঢেলে দিন।

পরিষ্কার চামচের সাহায্যে মিশ্রণ ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়াতে থাকুন।

-

সতর্কতা

কোনোভাবেই পানির পরিমাণ কম-বেশি করা যাবে না, এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল তো পাওয়া যাবেই না, বরং শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতিও হতে পারে।

কোনোভাবেই স্যালাইনে পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ, স্যুপ বা ফলের জ্যুস বা সফট ড্রিংকসও মেশানো যাবে না। এমনকি চিনিও মেশানো যাবে না।

শিশুদের ক্ষেত্রে স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো, কারণ ফিডিং বোতল পুরোপুরি পরিষ্কার করা ঝামেলা হয়ে যায় অনেক সময়।

গরম পানিতে স্যালাইন বানানো যাবে না। স্যালাইনের পানিও গরম করা যাবে না।

বানানোর পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্যালাইন ভালো থাকে। অর্থাৎ বানানোর ১২ ঘণ্টা পর আর সেই স্যালাইন খাওয়া যাবে না, সেটি ফেলে দিতে হবে।

-

প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন পাওয়া না গেলে

অনেক সময় জরুরি অবস্থায় প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন হাতের কাছে না-ও পাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঘরেই স্যালাইন প্রস্তুত করে নেয়া যেতে পারে। এ জন্য লাগবে চিনি, লবণ ও পানি।

৬ চামচ চিনি ও আধা চামচ লবণ ১ লিটার বিশুদ্ধ পানিতে ভালোভাবে গুলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন।

-

সতর্কতা

স্যালাইন তৈরির সময় উপাদানে কম বেশি করা যাবে না। চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে ডায়রিয়া বেড়ে যেতে পারে, আবার অতিরিক্ত লবণ শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

তবে হাতে বানানো স্যালাইনের ক্ষেত্রে পানি ১ লিটারের চাইতে সামান্য বেশি ব্যবহার করলেও সমস্যা নেই। আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, বাজারে অনেক ধরনের ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন পাওয়া যায়–তবে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় এসব ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন বরং ক্ষতিই বেশি করতে পারে।

পর্যাপ্ত তরল খেতে থাকলে, কোনো ওষুধ ছাড়াই ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়। না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি