সহকারী শিক্ষক
০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ০৮:১০ অপরাহ্ণ
৯ ও ৫ মাস ধরে অজ্ঞাত দুই লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ
৯ ও ৫ মাস ধরে অজ্ঞাত দুই লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ
চট্টগ্রাম জেলার
রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘ ৯
ও ৫ মাস ধরে অজ্ঞাত দুই লাশ নিয়ে পড়েছে রাঙ্গুনিয়া
থানা পুলিশ। উপজেলার
পৃথক স্থান হতে উদ্ধার
হওয়া অজ্ঞাত
এক যুবক ও এক
কিশোরের লাশের
রহস্য উদ্ঘাটন
হয়নি। চল্লিশ
বছর বয়সী
অজ্ঞাত যুবকের
লাশ উদ্ধারের
৯ মাস
ও ১৭
বছর বয়সী
কিশোরের লাশ
উদ্ধারের ৫
মাস পেরিয়ে
গেলেও মেলেনি
তাদের পরিচয়।
ফলে লাশ
দুটি নিয়ে
কোন কূল-কিনারা কাটছে
না।
পুলিশ সূত্র
জানিয়েছে, মরদেহ দুইটি
অর্ধগলিত অবস্থায়
পাহাড় ও
খাল থেকে
উদ্ধার হয়েছে।
শরীরে আঘাতের
চিহ্ন ছিল।
তবে লাশ
পচন ধরায়
শনাক্ত করা
যায়নি।
পুলিশ সূত্রে
জানা যায়, ২০২২ সালের
৮ মে
উপজেলার লালানগর
ইউনিয়নের রাজারহাট-ধামাইরহাট
সংযোগ সড়কের
ঘাগড়া খাল
ব্রিজের পাশে
অজ্ঞাতনামা যুবকের
(৪০) লাশ
পড়ে থাকা
অবস্থায় উদ্ধার
করে পুলিশ।
অন্যদিকে দুইমাস
পর চলতি
বছরের ২৮
আগস্ট উপজেলার
পৌরসভা ইছাখালী
লক্ষীরখীল উত্তর
ঘাটচেক ৫
নম্বর ওয়ার্ডের
পাহাড়ি এলাকা
থেকে অজ্ঞাতনামা
(১৭) কিশোরের
আরও একটি
লাশ উদ্ধার
করে পুলিশ।
দীর্ঘদিন পরও
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
না আসায়
কিভাবে মৃত্যু
হয়েছে তা
জানাতে পারেনি
পুলিশ। তবে
প্রাথমিক বিবরণে
হত্যা করা
হয়েছে বলে
ধারণা করা
হয়। সেই
কিশোরকে গলায়
প্লাস্টিকের রশি
দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকরে
হত্যা করা
হয়েছে বলে
ধারণা পুলিশের।
এদিকে, নিহত
যুবকের লাশের
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
আসলেও পরিচয়
না পাওয়ার
হত্যার রহস্য
উদঘাটনে জট
লেগে আছে।
এসব লাশ
কবে কোথা
থেকে এসেছে
কোন কিছুরই
মিলছে না
ক্লু। যে
কারণে বাধা
হয়ে আছে
দুইটি লাশের
হত্যার আসল
রহস্য।
এ বিষয়ে
জানতে চাইলে
রাঙ্গুনিয়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো.
মাহবুব মিলকী
বলেন, অজ্ঞাতনামা
(৪০) যুবকের
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে
হত্যার প্রমাণ
মিলেছে। পরিচয়
না পাওয়ায়
হত্যার রহস্য
উদঘাটনে বাধা
হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধারণা করা
হচ্ছে দূরের
কোন জায়গা
থেকে এনে
খুন করা
হয় যুবককে।
এ বিষয়ে
হত্যা মামলার
প্রস্তুতি চলছে।
লাশের পরিচয়
সনাক্ত ও
হত্যার রহস্য
উদঘাটনে চেষ্টা
অব্যাহত আছে।
ওসি আরও
বলেন, পাহাড়
থেকে উদ্ধার
করা কিশোরের
লাশ দেখে
প্রাথমিক ধারণা
করা হয়
তাকেও হত্যা
করে ফেলে
রেখে যায়
দুর্বৃত্তরা। তবে
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
না আসায়
পুরোপুরি বিষয়টি
নিশ্চিত হওয়া
যায়নি। ৫
মাস পেরিয়ে
গেলেও থানায়
কেউ খোঁজ
নিতে আসেনি,
মেলেনি পরিচয়ও।
কিশোরের লাশ
উদ্ধারের পরেই
পুলিশ বাদী
হয়ে থানায়
হত্যা মামলা
দায়ের করে।পরিচয়
সনাক্তকরণ হলেই
হত্যার রহস্য
উদঘাটন কাজ
আরও বেগবান
হতো বলে
জানান ওসি
মাহাবুব মিলকী।