Loading..

খবর-দার

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ০৭:২৭ অপরাহ্ণ

চাহিদাভিত্তিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
img
MD.AMINUL ISLAM

সহকারী শিক্ষক

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বর্তমান চাকরির বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।জাতি গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি (মানসম্মত শিক্ষা) অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মেধা বিকাশের প্রধান মাধ্যম।তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানে নিজেকে নিবেদিত করতে এবং মনে রাখতে বলেছিলেন যে ‘আনন্দ ব্যতীত শিক্ষা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না।’তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা এবং কৌশলগুলোকে শোষণ করে নিজেদেরকে সময়োপযোগী রাখতে হবে।’হামিদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।

ডিগ্রি অর্জনের জন্য স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদের মনে রাখার পরামর্শ দেন যে, ‘শিক্ষা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন শিক্ষার্থী কীভাবে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে এর সদ্ব্যবহার করতে পারে তার ওপর একজন স্নাতকের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দা থেকে দেশকে বাঁচাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে হবে। রফতানি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেটি করা উচিত।’

রাষ্ট্রপতি গ্রাজুয়েটদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ারও পরামর্শ দেন।এ উপলক্ষে ৩৬ জন স্নাতককে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং ২৯ জন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ প্রদান করা হয়।

ষষ্ঠ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সেনাপ্রধান (সিএএস) জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিইউপির ভাইস-চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মো: মাহবুব-উল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং বিইউপি’র প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।