Loading..

খবর-দার

১৬ মার্চ, ২০২৩ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

এক রেলপথে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১১২ কিমি, সময় বাঁচবে ৩ ঘণ্টা

বহুল প্রতীক্ষিত বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথের উভয় প্রান্তে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে চলছে রেলপথ নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া। নক্শা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর সিরাজগঞ্জ অংশের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বগুড়া অংশের প্রস্তাব পাঠানো হবে। রেলপথটি নির্মাণ হলে বগুড়া-সিরাজগঞ্জের মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিতসহ রাজধানীর সঙ্গে উত্তরের জেলাগুলোর দূরত্ব কমবে ১১২ কিলোমিটার। সেইসঙ্গে সময় বাঁচবে প্রায় তিন ঘণ্টা।


এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী। তিনি বলেন, ‘সব প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের আওতায় বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী রেলস্টেশন পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে।’



প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের জন্য ৯৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রেলপথের ডুয়েল গেজের জন্য এসব জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রথমে ডুয়েল গেজ লাইন এবং পরবর্তীতে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। এই রেলপথে মোট ৯টি স্টেশন তৈরি করা হবে। এগুলো হলো—এম মনসুর আলী স্টেশন, রায়পুর স্টেশন, নলকা কৃঞ্চদিয়া স্টেশন, চান্দাইকোনা স্টেশন, রায়গঞ্জ স্টেশন, ছোনকা স্টেশন, শেরপুর স্টেশন, আড়িয়া বাজার স্টেশন ও রানিরহাট স্টেশন। এর মধ্যে মনসুর আলী স্টেশনে তিনটি জংশন তৈরি হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত আরও তিন কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করায় ট্রেনগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু পার হয়ে সারা দেশের সঙ্গে চলাচল করবে। এসব স্টেশনের বাইরে বগুড়ার কাহালুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হবে রেলপথের।



প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর যৌথ অর্থায়নে এই রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২৬ সালে নির্মাণকাজ শেষ হবে। এই রেলপথ নির্মাণে প্রাথমিক সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও তা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলা অবস্থায় বাড়তে পারে। দুই জেলায় মোট ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া অংশে প্রায় ৫০০ একর ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৪৬০ একর। 


জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকার ইতোমধ্যে ১৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নক্শা তৈরির কাজ শেষের দিকে। পাশাপাশি কাজ দ্রুত শুরু করতে দরপত্র প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পের আওতায় দুটি রেলপথ নির্মাণ করা হবে। বগুড়া রেললাইন থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এবং অপরটি বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে রানিরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার।