সিনিয়র শিক্ষক
২৬ মার্চ, ২০২৩ ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও ৫২ বছরে আমাদের অর্জন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ৫২ বছরে আমাদের অর্জন।
স্বাধীনতা চার অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দটি
প্রতিটি জাতির কাছেই এক অন্যরকম আবেগ ও ভালবাসার নাম। এক সাগর রক্ত ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন ও দুই লক্ষ মা,-বোনদের ইজ্জতের ত্যাগ
ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের
এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা কখনো এমনি এমনিতে আসেনা আমাদের দেশও এর ব্যাতিক্রম
নয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে ৯ মাস
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পুরোপুরি বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। আর এই
মহান স্বাধীনতার ঘোষনাটি আসে ২৬ মার্চ। এজন্যই দিনটি বাঙ্গালি
জাতির জন্য বিশেষ এক দিন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা
দিবস, ২৬ মার্চ এর ইতিহাস।
ধরতে
গেলে বাংলাদেশের ইতিহাস শুরু করতে হবে ১৯৪৭ সাল থেকেই, ইংরেজরা ঔপনিবেশিক চলে যাওয়ার আগে এই উপমহাদেশকে ভারত ও
পাকিস্তান নামে দুই দেশে বিভক্ত করে যায়। ধর্মভিত্তিক বিভাজন কিছু দিন যেতেই
খোল্পস পাল্টে আসল রুপ ধরা পরে। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পুর্বপাকিস্তানের উপর অর্থনৈ্তিক রাজনৈতিক ভাবে শোষন চালাতে থাকে
পশ্চিম পাকিস্তানিরা। শুরুটা হয় ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার উপর আঘাত দিয়ে।এতেই থেমে
থাকেনি তারা রীতিমত সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাতে থাকে । বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে
যখন বাংলার দামাল ছেলেরা রক্ত দিল রাজপথে তখন থেকেই বলতে গেলে বাঙালীদের মানসপটে
অংকিত হয়েছিল যে স্বঅধিকারি আসল মুক্তি। এরপর রবিন্দ্র সংস্কৃতির চর্চার ওপর খড়গহস্ত
নেমে আসে। এভাবে পাকিস্তানিরা সরকারি বেসরকারি বেসামরিক সব খাতেই নজিরবিহীন
বৈষ্যম্যের শিকার হয় বাঙালিরা।এসব কিছুর কারনে বাঙা্লিরা ভেতর ভেতরে ফুসতে থাকে।
৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,৬৬এর ৬দফা,৬৯এর গনঅভ্যূত্থান তারি ইঙ্গিত। তাই ৭০ এর
নির্বাচন জেতার পরো আওমিলীগকে ক্ষমতায় বস্তে দেওয়া হলনা। উলটো আওলোচনা নামে টালবাহানা। ক্রমে বাঙালীজাতি
এগিয়ে যেতেথাকে ২৬মার্চ এর ইতিহাসের দিকে.৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
একবুদ্ধিদীপ্ত কাজ করে বসলেন যা বাংলার সকল জাতির উদ্দ্যেশ্য রেসকোর্স ময়দানে এক
ঐতিহাসিক ভাষনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে আমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই
পাকিস্তানি বরবর বাহিনির উপর ঝাপিয়ে পরতে হবে। আর এইদেশকে মুক্ত করে স্বাধিন
বাংলাদেশ হিসাবে নিশ্চিত করতে হবে। তার সেই ঐতিহাসিক ভাষন আজও বাংলীর কানে বাজে।
এবারের সংগ্রাম আমাদের
মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম
স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা।।
কিন্তু
পাকিস্তানিরা যখন শান্তির পথ বেচে নিলনা
২৫ মার্চে টিক্কাখান জেনারেল নিয়াজি এদের মাস্টারপ্ল্যানে সরাসরি বাঙালিকে
হত্যার মহোৎসবে মেতে উঠলো। সেই রাতেই বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হবার পূর্বে বেতার
মাধ্যমেস্বাধীনতা ঘোষনা করলেন। তার পর আওমীলীগ নেতা এম এ হান্নান দ্বতীয়বার
বঙ্গবন্ধুর হয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন। এবং ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর
রহমান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধোষনা পাঠ করেন। তাপর
শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ রাত্রে বাসাথেকে গ্রেপ্তার
করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তিনি বেতার
মার্ফত যে ঘোষনাটি দিতেছিলেন তা হল
বাংলায়,
এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদের মানুষকে আহবান জানাই,আপ্নারা
যেখনেই থাকুন আপনাদের সর্বস্ব নিয়ে
দখলদস্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি
থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈ্ন্যটিকে উৎখাত করা এবং চুরান্ত বিজয় অর্জনের আগ
পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
২৬ মার্চকে স্বাধীনতা
দিবস ঘোষণা করা হয় কখন ও কত সালে থেকে?
১৯৭২
সালের ২২ জানুয়ারি একটি
বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৬ মার্চকে
বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় এবং ২৬ মার্চের ইতিহাস্কে স্মরন ক্রার
জন্য করার জন্য দিনটিকে সরকারিভাবেছুটির
দিন বলে ঘোষনা করা হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা
দিবস কেন পালন করা হয় ?
এই
দিবসটি পালনের কিছু লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য রয়েছ তা নিন্ম রুপ,
১)
স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল আত্মনিয়ন্ত্রনাধীকার অর্জন ও অসাম্প্রদায়িক
কল্যান্মূখী, মানবিক প্রগতিশীল স্বতন্ত্র গন্তান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্টা।
২)
মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার
নিশ্চিত হবে এমন একটি দেশ প্রতিষ্টা করাও
এর উদ্দেশ্য। যেখানে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্টা, শোষন
বৈষ্ম্য অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুদা ও দারিরদ্র মুক্ত একটি সুখী –সমৃদ্ধ
সমাজ প্রতিষ্টা হবে এমন স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার প্রধান উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য
দিনটি যথা যোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে প্রতিবছর বীরদের স্বরন করি। এবং তাদের
আত্মার শান্তি কামনা করি।