পেশিতে টান পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। হঠাৎ করে যখন পেশিতে টান পরে বা টিস্যু ছিঁড়ে যায় তখন নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।শরীরের কোনও মাংসপেশি অনেক্ষণ ধরে ব্যবহার, দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটারে বসে কাজ করলে, একটানা গাড়ি চালালেও এই সমস্যা হয়। এছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণেও পেশিতে টান পড়তে পারে। কখনও আবার হঠাৎ করে ভারি কিছু তুলতে গিয়ে, শরীরে পানির ঘাটতি হলে, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্যও এই সমস্যায় পড়তে হয়।সাধারণত মাংসপেশি টান পড়লে হালকা যন্ত্রণা, চিনচিন ভাব হয়।মাংসেপেশিতে টান পড়লে কী করবেন-যেখানে মাংসপেশি ফুলে গেছে সেখানে বরফ লাগান।যেই জায়গাটি ফুলে গেছে কয়েকদিন সেই স্থানে গরম সেঁক দেওয়া যাবে না, ডাক্তারি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি মুড়িয়ে দিন।পেশি টান ধরে থাকলে ভারি কাজ কম করুন, কিছুদিন হাঁটাচলা বন্ধ রাখুন ও বিশ্রাম নিন।যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে বা ভারী কিছু তোলার আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে মাংসপেশিগুলোকে সচল করে নিতে হবে।নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।দীর্ঘক্ষণ না বসে, ৪০ মিনিট বা এক ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিট কিছুক্ষণ পায়চারি করতে হবে।প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।অনেক সময় পেশির টান কমে না, জ্বর আসে, ব্যথা হয় এবং শরীর ভীষন দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন রোগীকে বাড়িতে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই জরুরি। অনেক সময় পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, অপারেশন করাতে হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ক্রিম, জেল, স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। রোগীর ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে তাঁকে কিশমিশ, স্যালাইন, ডাবের পানি দেওয়া যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস,সমকাল