Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০২:৩৫ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস

০৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির  ২৪৮ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীপ্রতিবছর ০৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস এর সূচনা দিবস হিসেবে  বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপনের সীদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ।২০২২ সালে প্রথম বারের মত সারাদেশে বিভিন্য কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্কাউট  দিবস পালম করা হয়,.২০২২ সালের বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী স্মারক ,ডাকটিকেট ও খাম অবমুক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও সারাদেশে পতাকা উত্তলন ,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ,স্কাউটস ওন সহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবস্টি পালিত হয়,


বাংলাদেশ স্কাউটস
  বাংলাদেশের জাতীয় স্কাউটিং সংস্থা। স্কাউটিং হল একটি আন্দোলন যার কাজ আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দান। এর মাধ্যমে একজন ছেলে বা মেয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। স্কাউটিং এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার আনন্দ যার স্বাদ নিতে হলে যোগদান করতে হবে এই আন্দোলনে। ১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল সংক্ষেপে বি.পি এই আন্দোলনের শুরু করেন। 

 ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারাদেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ঐ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, সোমবার) উক্ত সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। এর আগে প্রবীণ স্কাউটার সলিমুল্লাহ ফাহমীর নেতৃত্বে ২২মে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল স্কাউট এসোসিয়েশন। বিশ্ব স্কাউট সংস্থা (WOSM) ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় সমিতির নাম বদলে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় কাউন্সিল ১৯৯৪ সালের ২৪ মার্চ একাদশ সভায় বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন-স্কাউটিং চালু করে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ স্কাউটস কার্যক্রম শুরু করেছিলো মাত্র ৫৬,৩২৫ জন সদস্য নিয়ে। ১৯৭৮ সালে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে সকল স্তরের জন্য ট্রেনিং কোর্সসমূহ পরিচালনার মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৫ লাখে উন্নীত হয়। এরপর বাংলাদেশ স্কাউটস ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করে স্ট্রাটেজিক প্ল্যান- ২০১৩। এ প্ল্যানে স্কাউটদের শুধু সংখ্যাবৃদ্ধিই নয়, গুণগত মান অর্জনেরও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়। ৬টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভলেন্টিয়ার লিডার ও স্কাউটারবৃন্দ সমন্বিতভাবে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ লক্ষ স্কাউট তৈরির চেষ্টা করছেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালের মধ্যে স্কাউটের সংখ্যা ১৬,৮২,৭৬১ এ পৌঁছেছে যা বাংলাদেশকে বিশ্ব স্কাউট সংস্থায় ৫ম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ স্কাউটস অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০টি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি  গঠন করেছে যেগুলির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট এবং অভিজ্ঞ স্কাউটারগণ।

বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে জাতীয় স্কাউট কাউন্সিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট এ কাউন্সিলের প্রধান। স্কাউট জাতীয় কাউন্সিলের সভা প্রতিবছর সদর দফতরে আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে প্রতি তৃতীয় বছরের সভায় প্রধান জাতীয় কমিশনার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

প্রধান জাতীয় কমিশনার হচ্ছেন বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান নির্বাহী। এ পর্যন্ত ৬ জন এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন- পিয়ার আলী নাজির ছিলেন প্রথম জাতীয় কমিশনার। সর্বশেষ প্রধান জাতীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। 

বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ থেকে ১০+ বয়সী শিশুদের কাব স্কাউট, স্কুল ও মাদ্রাসার ১১ থেকে ১৬+ বয়সী বালক-বালিকাদের স্কাউট এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যলয়ের ১৭-২৫ বয়সী যুবক রোভার স্কাউট বলে। তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবিদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে মুক্তদল। উৎসাহী বয়স্করা বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়ে ইউনিট লিডার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকমন্ডলী বাংলাদেশ স্কাউটসের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট রয়েছেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি