Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৬ জুন, ২০২৩ ০১:২৬ অপরাহ্ণ

"সুন্দরবনের প্রাণী"
সুন্দরবন মহান আল্লাহপাকের এক অপরূপ নিয়ামত আমাদের জন্য।বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। দেশকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একমাত্র প্রাকৃতিক দূর্গ। বাংলাদেশে সবশেষ আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। মোখার আগের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে প্রতিহত করে বরাবরের মতোই নিজের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে এই বৃহৎ ম্যানগ্রোভ কিন্তু অমূল্য সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে আমাদেরকে আরও বেশি দ্বায়িতবান .।হতে হবে। আম্পান, ইয়াস, বুলবুল, ফণী, সিডর, নার্গিসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়কে অনেকটা নীরবভাবে একাই প্রতিহত করেছে সুন্দরবন।
এ যেন বাংলাদেশের জন্য চীনের মহাপ্রাচীর। ঘূর্ণিঝড়ের গতি ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কমিয়ে দিয়ে সুন্দরবন আমাদের ঠিক কী পরিমাণ জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়েছে, তা এককথায় কল্পনাতীত। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার আর আম্পানের সময় কলকাতায় ছিল ১১২ কিলোমিটার। সুন্দরবন না থাকলে ঢাকাতেও ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতি নিয়ে ঝড়টি চলে আসত। আম্পান কলকাতায় যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, সুন্দরবন না থাকলে আমাদের দশা কিছুটা কলকাতার মতোই হতো। শুধু কি ঝড়-ঝাপটা থেকেই সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করছে? না, বরং লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার উৎসও এই সুন্দরবন। এ বন থেকে গোলপাতা, মধু, মাছ, কাঠ এবং অন্যান্য বনজসম্পদ সংগ্রহ করে জীবন চলে বিপুলসংখ্যক মানুষের।
সুন্দরবন না থাকলে ঢাকাতেও ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতি নিয়ে ঝড়টি চলে আসত। আম্পান কলকাতায় যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, সুন্দরবন না থাকলে আমাদের দশা কিছুটা কলকাতার মতোই হতো। শুধু কি ঝড়-ঝাপটা থেকেই সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করছে? না, বরং লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার উৎসও এই সুন্দরবন। এ বন থেকে গোলপাতা, মধু, মাছ, কাঠ এবং অন্যান্য বনজসম্পদ সংগ্রহ করে জীবন চলে বিপুলসংখ্যক মানুষের। প্রতিবছর সুন্দরবন থেকে পর্যটন ও বন বিভাগের বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে অধিক ঘনত্বের একটি দেশ। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা এখানে অস্বাভাবিক বেশি। আর এই বিপুল জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকার জন্য নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণের জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন, আমাদের বায়ুমণ্ডলে তার সবচেয়ে বড় জোগানদাতা এই সুন্দরবন।
পাশাপাশি মানুষ, পশুপাখি প্রশ্বাসের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছাড়ছে এবং মিল-কারখানা থেকে কার্বনসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেসব উপাদান নির্গত হচ্ছে, সেসব শোষণ করে আমাদের বায়ুমণ্ডলকে পরিশুদ্ধ করছে এই বন। এর জন্য সুন্দরবনকে বলা হয় বাংলাদেশের ফুসফুস। সুন্দরবনকে বলা যায় আমাদের প্রাকৃতিক অক্সিজেন সিলিন্ডার। কিন্তু হায় নির্বিচার ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছুই করছি না। কিন্তু চাইলেই অন্য জায়গায় একটা সুন্দরবন গড়ে তুলতে পারব না। আমরা যদি আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, তাহলে সুন্দরবন শুধু একাই ধ্বংস হবে না, বরং আমাদের ধ্বংসও অনিবার্য হয়ে উঠবে। সুতরাংনিজেদের স্বার্থের জন্য হলেও সুন্দরবনকে বাঁচিঁয়ে রাখতে হবে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি