Loading..

প্রকাশনা

০১ আগস্ট, ২০২৩ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

অন্তঃসত্ত্বার প্লাটিলেট ৫০ হাজারের নিচে নামলে করণীয়

অন্তঃসত্ত্বার প্লাটিলেট ৫০ হাজারের নিচে নামলে করণীয়

ডেঙ্গু এডিসবাহী মশার কামড়ে সৃষ্ট রোগ। এ রোগের প্রধান উপসর্গ উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর।জ্বরের সঙ্গে থাকে মাথাব্যথা, হাত ও পায়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখের পেছনে ব্যথা করা। 

পায়খানার সঙ্গে রক্তও যায়। শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া এবং শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যাওয়া হচ্ছে জটিল উপসর্গ।

অন্ত:সত্ত্বা নারীদের ডেঙ্গু হলে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।গর্ভস্থ বাচ্চার ওপর ডেঙ্গু জ্বরে যে প্রভাব পড়ে তা হচ্ছে-শিশুর জন্মের সময় ওজন কম থাকা, গর্ভপাত হওয়া, পেটের মধ্যে গর্ভস্থ বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি। যদি ডেঙ্গু জ্বর কোনো গর্ভবতীকে আক্রমণ করে তাহলে তার যে কোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে, রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ার মধ্যে যে অনুচক্রিকা বা প্রাচীনের জড়িত সেটি কমে যায়। মায়ের যদি কোন কারণে প্রসবকালীন ডেঙ্গু ধরা পড়ে এবং অস্ত্রপাচারের পরবর্তী সময় ধরা পড়ে তাহলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং মা মারাও যেতে পারে।

গর্ভকালীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে করণীয়

গর্ভকালীন মায়ের ডেঙ্গু জ্বর হলে এ সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেমন- ফলের জুস, স্যালাইন, ডাবের পানি ইত্যাদি। শরীরের পানির পরিমাণ ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জয়েন্টে ব্যথা এবং অন্য ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। ব্লাড প্লেটেলেট কাউন্টার নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্লেটেলেট ৫০ হাজারের নিচে কমে গেলে অনেক সময় প্লেটেলেট ইনফিউশনের প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত বমি হলে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইন এবং অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, রক্ত দেওয়া লাগতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি টানিয়ে ঘুমানো, বাড়ির আশেপাশে বদ্ধ জায়গায় পানি জমতে না দেওয়া, সর্তকতা অবলম্বন অনেক জরুরি। যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করাই হলো এ রোগ থেকে নিজেকে এবং গর্ভের শিশুকে নিরাপদ রাখার একমাত্র উপায়।

 

আরো দেখুন