Loading..

মুজিব শতবর্ষ

০৪ আগস্ট, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদান 2

স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তিনি গরিব কৃষকের খাজনা মওকুফ করেন। শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার্থে বড় বড় মিল, কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। এত দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, ভালোবাসা স্বাধীন দেশে আজও কোনো নেতার মাঝে দৃশ্যমান হয়নি। মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে তিনি বহুবার জেল খেটে সংগ্রামী ঝাণ্ডা সমুন্নত রেখে আমাদের জন্য দিয়ে গেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু হিসেবে আজও তিনি আছেন সমাদৃত। বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি বিশ্বের সব অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে নেতৃত্ব দিতেন। জাতিসংঘ তাকে বিশ্ববন্ধু হিসেবে খেতাব দিয়ে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা তার অন্যতম রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিভূমি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ৮টি শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করে। সব কমিশন ছিল এ দেশের মানুষের মৌলচেতনা, সমাজ-সংস্কৃতি ও কৃষ্টিবিরোধী। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ বলে অভিহিত করেন। সে আলোকে ১৯৭৪ সালে একটি সুদূরপ্রসারী শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণীত অধ্যাদেশ বাতিল করে ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষা প্রসারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন পেশা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন।

 প্রত্যাশা করি।

আরো দেখুন