![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/2024/June/30/17197193626680d5c2e5580_thumb.webp)
প্রভাষক
![](https://teachers.gov.bd/shared/contents/2023/August/4/mujib-100/image_113641_1691126159.png)
০৪ আগস্ট, ২০২৩ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
প্রভাষক
ব্রিটিশরা বাঙালির স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হলো না, তাদের ধনে-মানে-প্রাণে কীভাবে ধ্বংস করা যায় সে অপতৎপরতাও অব্যাহত রাখল। ১৯৪৭ সালে তারা এ দেশের দখলদারিত্ব ছেড়ে দিল বটে কিন্তু এক সময়ের সমৃদ্ধ কৃষিনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির সেই ঐতিহ্যটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে গেল। বাঙালি মুসলমানদের অবস্থাই সব চেয়ে বেশি শোচনীয় হয়ে ছিল। ১৯৪৭-এর আগে মনে করা হয়েছিল, স্বাধীনতা পেলে বাঙালি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। সেই আশা নিয়েই বাঙালি মধ্যবিত্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কিন্তু ততদিনে ব্রিটিশরা হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ বেশ শক্তভাবেই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে বাঙালি মুসলমান নেতারা মুসলিম লীগপ্রধান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের সঙ্গে একমত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত করে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সক্রিয়ভাবে পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে কাজ শুরু করেন। তখনো তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি, তিনি তখন ইসলামিয়া কলেজের তরুণ ছাত্রনেতা। তিনিও আশা করেছিলেন, স্বাধীনতা আসলে গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের ধসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
অধিকারবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতা বঙ্গবন্ধু