মুকুট পরে বসে আছি
তোমাকে বরন করে নেব বলে।
তুমি এসো
বধু বেসে আমার আঙ্গিনায়।
আমি দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
তুমি এসো
সোনালী জরির পাদুকা পায়ে।
আমার স্বপ্নের রাজকন্যা হয়ে,
এই কাঙ্গাল ভিখারি প্রেমিকের ঘরে।
২.
বিরহের তীব্রতা
বি এম মিজানুর রহমান
আজও কান্নায় ধরে আসে গলা,
কথা বলতে চাইলে গোঙানির শব্দ বেরিয়ে আসে।
হয়না মনের কথা বলা,
অশ্রুজলে ভেসে যায় শব্দ মালা।
যাবার ক্ষন মনে হলে চঞ্চল হয়ে ওঠে মন,
অস্থিরতা জড়িয়ে ধরে আমাকে।
বিরহের তীব্রতা বেড়ে যায় অন্তরে,
দীর্ঘশ্বাসে বুক ভারি হয়ে আসে।
৩.
একবুক তৃষ্ণা
বি এম মিজানুর রহমান
মরু সাহারার মতো তৃষ্ণার্ত আমি,
কোন নদীর জলই যথেষ্ট হবেনা আমার জন্য।
সমুদ্রের বিশাল জলরাশির প্রয়োজন হবে,
তাহলে যদি কিছুটা তৃষ্ণা নিবৃত হয়।
কিছুটা স্বস্তি আসে জীবনে!
চৈত্রের খরতাপে পুড়েছি দীর্ঘকাল,
তাই একবুক তৃষ্ণা বুকে আমার।
আষাঢ়ের মেঘ-বৃষ্টি পারেনি,
কোন ঝড় জলোচ্ছ্বাসও পারবেনা তৃষ্ণা মেটাতে।
তাই চেয়ে আছি...
সমুদ্রের বিশাল জলরাশির অপেক্ষায়।
৪.
কবিতার দেবী
বি এম মিজানুর রহমান
আমার কবিতার দেবী হারিয়ে গেলে...
থেমে যাবে কবিতা লেখা।
উৎস স্তব্ধ হলে যেমন হারিয়ে যায় বহমান ঝর্নাধারা।
তেমনি আমার কবিতার মৃত্যু হবে অকস্মাৎ,
তাকে নিয়ে যেতে হবে প্রজ্বলিত চিতায়।
অবশিষ্ট ছাইটুকু ছড়িয়ে দিতে হবে
পবিত্র গঙ্গার জলে।
৫.
গোধূলির মায়া
বি এম মিজানুর রহমান
কত রজনীর নিস্তব্ধতা ভেঙেছে
বেদনার হাহাকারে,
ভুলে গেছি
গোধূলির মায়াবী আলোতে।
স্বপ্নের জালে জড়িয়েছি
নতুন করে।
ভালোবাসার গল্পগুলো
অন্য রকম হয়ে গেছে,
যেখানে কান্না নেই
দীর্ঘশ্বাস পড়েনা আগের মত।
নতুন অভিজ্ঞতা
জমেছে অন্তরে,
ভালোবাসার শিশির পড়ছে
রজনীগন্ধার বুকে।