Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থীকে সরাসরি কিছু শেখানোর চেয়ে তাকে শেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া বেশি কার্যকর।।শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য আমার প্রচেষ্ট।

আমি মহিউদ্দিন ওসমানী, সিনিয়র শিক্ষক মেহেরুননেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়, মিরসরাই উপজেলা চট্টগ্রাম। আমি বিগত ৩৩ বছর যাবত এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে, শিক্ষার্থীর উন্নয়নে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতার বৃদ্ধি জন্য বিগত ৩৩ বছর নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন খেলাধুলা ও শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। সে  সাথে নেতৃত্ব বিকাশে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে আমি কাজ করছি। 


শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সামর্থ অর্জনের চেষ্টা করছি। নিয়মিত তাদের ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাগত দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করছি। আমি নিয়মিত চেষ্টা শিক্ষক গাইড অনুসরণ করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অপ্রাণ চেষ্টা করছি। 

বর্তমান অবক্ষয়ের যুগে শিক্ষার্থীদেরকে খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখার বিকল্প নাই।।   মহিউদ্দিন ওসমানী      

জীবনে সুখী হতে সর্বপ্রথম প্রয়োজন সুস্থ ও সবল শরীর। শরীর ও মনকে ভালো রাখতে খেলাধুলার বিকল্প হয় না। খেলাধুলার মধ্যে রয়েছে শরীর চালনা যা ক্রমাগত শারীরিক দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে।তাই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিশু থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ অধিকাংশই খেলা ধুলো বলতে বোঝে অনলাইন ভিডিও গেম। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর যেমন, তেমনই মানসিক বিকাশের পথেও অন্যতম বাঁধা।

খেলাধূলার সূচনা মূলত হয় শরীর গঠনের জন্য। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতেই খেলাধূলার উদ্ভব। সুস্বাস্থ্য অর্জনে ব্যায়াম অথবা খেলাধূলার কোনো বিকল্প নেই।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খেলাধূলা করলে শরীরের পেশী শক্ত ও সুঠাম হয়। এতে শরীরের কোষগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পৌঁছে, হৃদপিন্ড সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে ফলে শরীরে স্বাভাবিক রক্ত-সঞ্চালন ঘটে, পরিপাক যন্ত্র আরো বেশি শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম হয়।

এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও খেলাধূলা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। খেলাধূলার ফলে শরীরের শক্তি, কাজ করার ক্ষমতা ও মনে সাহস জন্মে। ফলে তার শরীর সবসময় থাকে চাঙা। এছাড়াও শরীরের ক্লান্তি, অবসাদ, মস্তিষককে চাপমুক্ত রাখতেও খেলাধূলা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে।

খেলাধূলা যে শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে তাই নয়। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও খেলাধূলার রয়েছে বিশেষ অবদান। খেলাধূলা শরীরের অবসাদ দূর করায়, মন থাকে ফুরফুরে। শরীর সুস্থ্য থাকলে মানসিক সুস্থ্যতাও সহজে অর্জন হয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়।

সুস্থ্য শরীর, সুস্থ্য মন সকলেরই কাম্য । শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে খেলাধুলা। সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম হিসাবে শিক্ষার সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে যে কাজগুলো জড়িত, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খেলাধুলা। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও যত্নবান।

 আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কিছু চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।


তাই আমার আজকের শ্লোগান স্বপ্নের স্কুল গড়ি নিয়েকে দিয়ে শুরু করি।

আজকের পর্ব বিভিন্ন সালের প্রশিক্ষণে স্থির চিত্রের ভিডিও।

আরো দেখুন