সহকারী শিক্ষক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ণ
স্কুলে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা।
সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার প্রতি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। অথচ যে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানের আলো জ্বালানো হয় তা কতটুকু পরিষ্কার তা ভাবা বিশেষ দরকার। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিগুলোর অবস্থা অনেক করুণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো হতে দেশের সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হওয়ার জন্য শিক্ষা দেয়া হয় সে জায়গা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হয় তাহলে কেমন করে সুস্থ ও সচেতন নাগরিক তৈরি হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র একজন পরিষ্কারকারী কর্মীর কাজ নয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সবার দায়িত্ব। উন্নত দেশগুলোতে বাচ্চারা এই সাধারণ জ্ঞানগুলো পরিবার থেকে পেয়ে থাকে। তাহলে আমাদের দেশের বাচ্চারা কেন পরিবার থেকে এই জ্ঞানগুলো পায় না। আমি বলছি না বাংলাদেশ ইউরোপ হয়ে গেছে তবে আমরা তো পিছনে নেই অর্থনৈতিক ও টেকনোলজির দিক দিয়ে। আমাদের যে অগ্রগতি তা অতুলনীয়। আজ শহর হতে শুরু করে গ্রামের প্রতিটা মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। দেশ ও দেশের বাইরের ভালো-মন্দ খবর রাখে, তাহলে আমরা কেন আমাদের জায়গা পরিষ্কার রাখতে পারি না। শিক্ষামন্ত্রী কিছুদিন আগে যে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তা যুগান্তকারী ঘোষণা। সপ্তাহে একদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে বিদ্যালয় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করবে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর কিছু স্কুল-কলেজ কাজগুলো করতে শুরু করেছিল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এর বাস্তবায়ন এখন আর নেই। তাহলে এই ব্যর্থতা শিক্ষকের নাকি শিক্ষার্থীদের নাকি অন্য কারোর। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের কাজের প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হবে এবং বলা যায় পরিবেশের দিক দিয়েও তাদের মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে যার ফল দেখতে পাবো।