Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০১:০৭ পূর্বাহ্ণ

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়ন

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি দিক। সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক বা যে কোনো প্রতিষ্ঠান হোক এটি অন্যরকম গুরুত্ববহন করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেতো এর গুরুত্ব আরো একধাপ এগিয়ে আসে। শিক্ষার পরিবেশ বা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ পরিচ্ছ্ন্ন থাকা একান্ত প্রয়োজন। পরিচ্ছ্ন্নতা একদিকে প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য  বাড়ায় অপরদিকে শিখন পরিবেশকে করে উন্নতর। শিশুরা হেসে খেলে শিখন শিখানো কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো নির্মল পরিবেশ রক্ষার্থে নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্ম সহ সকল ধর্মেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি দুটো মহামারীর উৎস ও বৃদ্ধির মুল কারণ হলো অপরিচ্চন্নতা। একটা হলো ‘’ করোনা ভাইরাস” অন্যটি হলো ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। দুটোরই উৎপত্তি ও বিকাশ নোংরা ও ময়লাযুক্ত পরিবেশ। 

আজ আমার উদ্ভাবনী গল্পের মূলবিষয় হলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়ন। পরিচ্ছন্নতা ও সবুজ প্রকৃতি উভয়েই বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করে। সেই সাথে শিক্ষার পরিবেশ  আরো আকর্ষনীয় হয়। আকর্ষনীয় ও মনোরম পরিবেশে শি্শুরা সহজেই তাদের পাঠ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আনন্দবোধ করে। এর বিপরীত পরিবেশ হলে তা সহজে সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব হতো না। তাই আমি সপ্তাহে নূন্যতম ্একদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি। এতে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে উৎসাহ নিয়ে বিদ্যালয়ঙ্গন, এর আশপাশ, শ্রেণীকক্ষ পরিস্কারসহ এবং ফুলবাগান পরিচর্যা করে। এর উদ্দেশ্য সমূহ নিম্নরুপঃ

১। শিক্ষাঙ্গন পরিচ্ছন্ন রাখা।     ২। প্রাকৃতিকভাবে সবুজায়ন করা।     ৩। শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ সুন্দর হলে শিখন পরিবেশ সুন্দর হয়।           ৪। শিখন দীর্ঘস্থায়ী হয়।     

৫। পাঠে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।     ৬। কর্মের প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করা।  ৭। শিক্ষার্থীর নিজের কাজ নিজে করার প্রতি সুঅভ্যাস গড়ে তোলা।  ৮। শিক্ষার্থীদের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ে।

৯। শিক্ষার্থীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করা। ১০। সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো। ্  ১১। পরিবেশ দূষণজনিত রোগ প্রতিকারের চেষ্টা। ইত্যাদি।

আরো দেখুন