![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/2024/01/18/X2Q2jwTmyf5SGrPx3uekmNse6TstsrJrbon6O09o.jpg)
সিনিয়র শিক্ষক
![](https://teachers.gov.bd/shared/contents/2023/October/25/photo/image_126707_1698251788.jpg)
২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
সিনিয়র শিক্ষক
ধরন: মাদ্রাসা শিক্ষা
শ্রেণি: নবম
বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
অধ্যায়: তৃতীয় অধ্যায়
বাব আলীবর্দী খান ছিলেন ১৭৪০সাল থেকে ১৭৫৬ সাল পর্যন্ত বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার উত্তরসূরি ছিলেন।
আলীবর্দী খানের পূর্ণ নাম মির্জা মুহাম্মদ আলী। তার পিতার নাম মির্জা মুহাম্মাদ। তিনি আরব বংশোদ্ভূত মির্জা মুহাম্মদ আজম শাহের আওরঙ্গজেবের দ্বিতীয় পুত্র দরবারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। আলীবর্দী খানের মা খুরাসানের এক তুর্কি উপজাতি থেকে এসেছিলেন। তার পিতামহ আওরঙ্গজেবের সৎ ভাই ছিলেন। পূর্ণবয়স্ক হবার সাথে সাথে আজম শাহ তাকে পিলখানার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন।
১৭০৭ সালে সংঘটিত এক যুদ্ধে আজম শাহের মৃত্যুর পর চাকরি চলে যাওয়ার মির্জা মুহাম্মদ আলীর পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হন। তখন বাকি জীবনের জন্য তিনি সপরিবারে ১৭২০ সালে বাংলায় চলে আসেন। কিন্তু বাংলার তৎকালীন নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁন তাকে গ্রহণ করেন নি। ফলে মির্জা মুহাম্মদ আলী চুতাকে গমন করেন যেখানে সুজাউদ্দিন খান তাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করেন। সুজাউদ্দিন তাকে মাসিক ১০০ রুপি বেতনের চাকুরিতে নিয়োগ দান করেন। তার কাজ এবং বিশ্বস্ততায় খুশি হয়ে তিনি তাকে পদোন্নতি দেন। বিশেষ করে তাকে উড়িষ্যার কিছু জমিদারির তদারকি দান করেন।
উড়িষ্যাতে মির্জা মুহাম্মদ আলী প্রশাসনিক দক্ষতা লাভ করেন। উড়িষ্যার সন্তোষজনক দায়িত্ব পালন ছাড়াও সুজাউদ্দিনের শ্বশুর মুর্শিদ কুলি খানের মৃত্যুর পর বাংলার মসনদ রক্ষায় সুজাউদ্দিনকে তিনি সাহায্য করেন। ফলশ্রুতিতে মির্জা মুহাম্মদ আলীকে চাকলা আকবরনগরের রাজমহল ফৌজদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৭২৮ সালে তাকে আলীবর্দী উপাধি দেয়া হয়। নতুন ফৌজদারের অধীনে রাজমহলের জনগন শান্তি এবং সমৃদ্ধি লাভ করে। প্রদেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রে আলীবর্দী সুজাউদ্দিনের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। নবাব তার প্রতি এমন নির্ভরশীল হয়ে পড়েন যে বছরে একবার রাজমহল থেকে মুর্শিদাবাদে তার ডাক পড়ত।
১৭৩২ সালে সম্রাট মুহাম্মদ শাহ বিহারকে বাংলা সুবার অধীনে নিয়ে আসেন। কিন্তু নবাব সুজাউদ্দিন সম্পূর্ণ অঞ্চল নিজের অধীনে না রেখে আলীবর্দীকে বিহারের নিজাম হিসেবে নিয়োগ দেবার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু দিন আগে আলীবর্দীর কনিষ্ঠা কন্যা আমিনা বেগম তার কনিষ্ঠ ভাতিজা জৈনুদ্দিন আহমদকে বিয়ে করেন। আমিনা বেগমের গর্ভেই বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জন্ম হয়। আলীবর্দীর নিজের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। আলীবর্দী সিরাজউদ্দৌলাকে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করেন।