Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:১৪ অপরাহ্ণ

উদ্ভাবনের গল্প "ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করি, বিশ্ব নাগরিক গড়ি।"

একটি আলোর ফুলকি থেকে হাজার প্রদ্বীপ জ্বলে, একটি শিশু শিক্ষা পেলে বিশ্ব পাখা মেলে।উদ্ভাবনের  গল্প "ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করি, বিশ্ব নাগরিক গড়ি।আসসালামু আলাইকুম। "আমি সাহিদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক, বাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবালয়, মানিকগঞ্জ।আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া তৈরি করেছি যা শিশুদের পঠন দক্ষতা ও তথ্যভান্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা  করবে।সম্মানিত কর্মকর্তা ও শিক্ষক মহোদয়গণ আমার উদ্ভাবনের গল্প দেখে আপনাদের মতামত আশা করছি । 

আমার বিদ্যালয়টি নিতান্তই গ্রামে অবস্থিত। এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্বায়নের এই যুগে অনেকটা পিছিয়ে আছে। যদিও এখন অনেক মা বাবাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার শুরু করেছে এবং তাদের শিশুদের হাতে অতি উৎসাহে মোবাইল  তুলে দিচ্ছে।  এতে করে তাদের মোবাইলের আসক্তি বেড়ে যাচ্ছে তবে সেটি কোনো কাজে আসছেনা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ক্লাস আমরা ঠিকই নেই কিন্তু তা বিশেষ পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাড়তি কিছু তাদের শেখানো হয়না। আমি কিছু ব্যতিক্রম কার্যক্রম শুরু করলাম যেমন শিক্ষার্থীদের বাংলা ও  ইংরেজি অভিধান অ্যাপস ডাউনলোড করে তাতে শব্দ সার্চ ও সঠিক উচ্চারণ কিভাবে শিখতে হয় তা শিখিয়ে দিলাম। ইউটিউবে বিভিন্ন তথ্যমূলক, শিক্ষণীয় বাংলা ও ইংরেজি গল্প শোনাই মাঝে মাঝে। অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের  সাথে কমিউনিকেশন করে তাদের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম শেয়ার করি। কিভাবে ইংরেজি ভাষাকে সমৃদ্ধ করা যায় তার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি যেমন গ্রুপে কাজ দেই এবং ভিডিও ক্লিপ দেখে তার ছোটো খাটো অংশ ইংরেজিতে বর্ণনা করতে দেওয়া এবং ছবি দেখে ছোটো বাক্যে গল্প বলা ও লেখা। ধীরে ধীরে দেখলাম ওদের অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। আমার বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সারাফ আনজুম সাদ ইংরেজি ভাষাকে তার যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। সব সময় সে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সকল ব্যবহার সে শিখে নিয়েছে। তাই বিশ্ব নাগরিক গড়ে তুলতে হলে আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। ধন্যবাদ সবাইকে।

আরো দেখুন