![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/NsL0ScmEd78FtJ6on6ihvxOHLtFFZE6AwdAX7W5X.jpeg)
সিনিয়র শিক্ষক
![](https://teachers.gov.bd/shared/contents/2024/January/4/mujib-100/image_50372_1704372488.jpg)
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৬:৪৮ অপরাহ্ণ
সিনিয়র শিক্ষক
🇧🇩দেখা হবে বিজয়ে 🇧🇩
তোমার প্রজ্ঞা বা জ্ঞান একসময় হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তোমার পরিশ্রম কখনোই হারবেনা। তোমরা যারা এবারের এস,এস,সি পরীক্ষার্থী বা অন্য কোনো পরীক্ষা দিতে যাচ্ছো তারা দিন-রাত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছো। কিন্তু একটা বড় গ্রুপ আছে যারা পড়াশোনা করছেনা। উল্টো বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে পড়াশুনা যাতে না করতে হয়। বাবা-মাকে এইসব অজুহাতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, আমি সবকিছু পারি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবো। মাঝে মাঝে অন্ধবিশ্বাসে সন্তানের কথা শুনে বাবা-মা সন্তানকে বিশ্বাস করেন এবং সন্তানের জন্য এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। আজকাল বাবা-মায়েরাও নিজেদের বিভিন্ন কাজের জন্য খুবই ব্যস্ত থাকেন। যার কারণে সন্তানের দিকে নজর দেওয়া কখনোও কখনোও বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানকে সময় দেওয়া সবার আগে এটা বাবা-মাকে মনে রাখতে হবে। সন্তানের মনে রাখা উচিত বাবা-মাকে ফাঁকি দেয়া মানে নিজের জীবনের সাথে বেঈমানি করা। বাবা-মায়ের অগোচরে দূষ্টুমি করছো কিংবা কাজে ফাঁকি দিচ্ছো, হয়তো ভাবছো কেউ এসব দেখছেনা। আসলেই কি কেউ দেখছেনা? সর্ব শক্তিমান উপরওয়ালা কিন্তু ঠিকই দেখছেন। তাই ফাঁকি দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে আলোকিত জীবনকে কেনো বারমুডা ট্রায়াংগেলে আটকে দিতে চাও? এমন সময় অচিরেই আসবে যখন এই ফাঁকি দেওয়ার পরিণতি তুমি ঠিকই বুঝবে কিন্তু খেসারত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই সময় থাকতে সাধন করতে হবে। কথায় বলে সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়ের সমান।
যদি জেতাটা তোমার হয় তাহলে হারাটাও তোমার। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে একলা উত্তরণের যে যুদ্ধটা নিরন্তর করে যাচ্ছো সেটা একান্তই তোমার। সুতরাং নিজের কাজের দ্বায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। হতাশা, অজুহাত,সময়াভাব এসব কেউ শুনতে আসবে না।
দেখো কেউ দশ বছর পরে এসে বলবে না তুমি সফল হতে পারোনি কারণ তোমার তখন মন খারাপ ছিল,তোমার সময় হয়নি, তাই কষ্ট পেয়ো না। সবাই সাফল্যের দাঁড়িপাল্লায় বিচার করে চলে যাবে অন্য কোনখানে। যারা হেরেছে তারা জানে বিজয়ের সৌন্দর্য।
ব্যর্থ জীবন জানে শুন্যতার গ্লানি কতখানি।
অজান্তেই নিজেকে ফাঁকি দিয়ো না।
পরীক্ষার পড়া কঠিন,একগুয়েমির বলে যে মানুষগুলো না পড়েই জীবনের যুদ্ধে ফেল করলো সে আসলে কার ক্ষতি করেছে? অথচ সেই হতে পারতো আগামীর তারকা।একটা সময় পরে যখন মনে হবে ইশ্শ আর একটু চেষ্টা করলেই....তখন আর কিচ্ছু করার থাকবে না। Please believe me!
নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে, নিজেকে ভালবাসতে হবে। তবেই দেখা যাবে সকল কাজেই আনন্দ আছে।
⏰দেখা হবে বিজয়ে⏰
সুভাষ চন্দ্র দাস
সিনিয়র শিক্ষক (বিজ্ঞান)
সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ।