Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৮:৪৬ অপরাহ্ণ

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকের ভূমিকা

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকের ভূমিকা

নতুন কারকুলাম একটি সুপরিকল্পিত , সুসজ্জ্বিত, ভবিষয়ৎ পৃথিবীর সাথে সোনার বাংলাকে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অতীব জরুরী, শিক্ষার্থীর নিকট কারিকূলামের সুফল পৌছানোর মূল কারিগর হলেন শিক্ষক। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । আর সেই শিক্ষা সমাজে প্রয়োগের মাধ্যম হলো শিক্ষক। নতুন কারিকূলাম নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের রিউমার/গুজব ছড়ানো হয়েছে। শিক্ষকদেরকে সমাজে মানুষের সাথে মিশে , অভিজ্ঞতার আলোকে, অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করে, অভিভাবকদের ভুল ধারনা থেকে মুক্তি দিতে হবে। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের জত্ন সহকারে, শিক্ষক সহায়িকা ফলো/অনুসরণ করে পাঠদানের মাধ্যমে নতুন কারিকুলামের বাস্তবায়নই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দের সাথে তাদের পাঠ গ্রহন করে সেজন্য শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। একটি কারিকুলাম বাস্তবায়ন সহজ কথা নয়। সঠিকভাবে এই কারিকুলামের বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। দলীয় কাজে এবং একক কাজে যেন সকল শিক্ষার্থী আনন্দ সহকারে অংশগ্রহন করে তা শিক্ষকদেরই নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে কারিকুলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা নিবে শিক্ষকরা। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ,শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করবেন, অব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের কাগজ পোষ্টার পেপের হিসেবে ব্যবহার করলে, পরিত্যাক্ত জিনিষ্পত্র শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার নিশ্চিত করলে শিক্ষা ব্যয় কমে আসবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের ভুল বুঝাবুঝি দূর করতে শিক্ষককে ভূমিকা নিতে হবে। যেহেতু ইলেক্ট্রিক ডিভাইস শিক্ষার্থীদের দেয়ার সামর্থ্য সকল অভিভাবকের নেই, সেহেতু এ ব্যাপারে সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। যাদের ডিভাইস আছে তাদের মাধ্যমে অন্যদের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে দলগত কাজ এগিয়ে নিতে হবে। কোন শিক্ষার্থী যদি তার পরিবারের কোন তথ্য উপস্থাপন করতে বিব্রত বোধ করে, তবে তাকে জোর করে তা করানো যাবে না, এ ক্ষেত্রে তাকে কাল্পনিক কোন তথ্য উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌছাতে হবে যেন, কোন শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত সমস্যাও তার শিক্ষকের নিকট উপস্থাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে । এতে শিক্ষাদান ত্বরান্বিত হবে। সামাজিক সৌহার্দ বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষক নিজে পাঠ না করে শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে বেশিরভাগ সময় পাঠ্য বই হতে পাঠ করানোর মাধ্যমে তাদের যুক্ত রাখতে পারে। গ্রুপা সাজানোর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী স্থানান্তর করতে হবে। নতুন কারিকূলাম একটি বিশাল কর্মজজ্ঞ। এটি ২০২৭ সালে পূর্ণাঙ্গরুপে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পৌছাবে। সুতরাং অনেকের মধ্যেই এ সংক্রান্ত স্বচ্ছ ধারনা না থাকাই স্বাভাবিক। শিক্ষকরা এটা মানূষের সাথে শেয়ার করবেন। এই কারিকুলাম প্রথম ধাপ অতিক্রম করে বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপ চলছে। একহ্নো দশম শ্রেণি ও একাদশে এতা চালু হয়নি। সুতরাং এটি নিয়ে অনেকেই অন্ধকারে রয়েছে। যে সকল সম্মানীত শিক্ষকবৃন্দ কারিকুলামের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের উচিত ইনহাউজ ট্রেনিং এর মাধ্যমে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে এ সংক্রান্ত ধারনা প্রদান করা। এতে তাঁদের অনুপস্থিতিতে ইনহাউজ ট্রেনিং এ প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে তার সহকর্মী ক্লাস চালিয়ে নিতে পারবেন এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাতবায়ন ত্বরান্বিত হবে। এ-ই প্রত্যাশা রইল সকল শিক্ষক্ মন্ডলীর প্রতি। আমরা একটি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় জাতি গঠনে অগ্রনী ভূমিকা রাখব , ইনশাল্লাহ।

আরো দেখুন