Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

প্রাণীর পরিচিতি (হাইড্রা)

রতীক প্রাণী: Hydra

Hydra হচ্ছে নিডারিয়া (Cnidaria) পর্বভুক্ত সরল গড়নের জলজ প্রাণী। প্রাণীজগতের দুটি পর্ব দ্বিস্তরী বা ডিপ্লোব্লাস্টিক প্রাণী (diploblastic animal) নামে পরিচিত। একটি হচ্ছে নিডারিয়া, অন্যটি টিনোফোরা (Ctenophora)। সুইজারল্যান্ডের প্রকৃতিবিজ্ঞানি আব্রাহাম ট্রেম্বলে (Abraham Trembley, 1710-1784) ১৭৪৪ সালে হাইড্রার প্রচন্ড পুনরুৎপত্তি ক্ষমতা প্রকাশের মাধ্যমে এর প্রাণীপ্রকৃতিকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যার ফলে হাইড্রার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। এজন্য ট্রেম্বলেকেই হাইড্রার অবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়।

১৭৫৮ সালে ক্যারোলাস লিনিয়াস (Carolus Linnaeus, 1707-1778) এর নাম দেন Hydra। গ্রিক রূপকথার নয় মাথাওয়ালা ড্রাগনের নামানুসারে Hydra-র নামকরণ করা হয়। ঐ ড্রাগনটির একটি মাথা কাটলে তার বদলে দুই বা তার বেশি মাথা গজাতো। Hydra ঐ ড্রাগনের মতো হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনরায় সৃষ্টি করতে পারে, তাই অনেক সময় বহু মাথাওয়ালা সদস্য আবির্ভূত হয়। মহাবীর হারকিউলিস (Hercules) অবশেষে এ দানবকে বধ করেন।

বাংলাদেশে 𝑯𝒚𝒅𝒓𝒂−র বিভিন্ন প্রজাতি (Different species of Hydra in Bangladesh)

বর্তমানে পৃথিবীতে 𝐻𝑦𝑑𝑟𝑎-র প্রজাতি-সংখ্যা ৪০টির মতো। গায়ের রং, কর্ষিকার সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য এবং জননাঙ্গের অবস্থান ও আকৃতির ভিত্তিতে হাইড্রার শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ২০০৮ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের চতুর্দশ খণ্ডের (Bangladesh Encyclopedia of Flora and Fauna, vol. 14) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৩ প্রজাতির হাইড্রার উল্লেখ পাওয়া যায়: ১. বাদামী বর্ণের 𝑯𝒚𝒅𝒓𝒂 𝒐𝒍𝒊𝒈𝒂𝒄𝒕𝒊𝒔 (=𝑯𝒇𝒖𝒔𝒄𝒂), ২. সবুজ বর্ণের 𝑯𝒚𝒅𝒓𝒂 𝒗𝒊𝒓𝒊𝒅𝒊𝒔𝒔𝒊𝒎𝒂 (=𝑯. 𝒗𝒓𝒊𝒅𝒊𝒔, 𝑪𝒉𝒍𝒐𝒓𝒐𝒉𝒚𝒅𝒂 𝒗𝒊𝒓𝒊𝒅𝒊𝒔𝒔𝒊𝒎𝒂) এবং ৩. বর্ণহীন বা হলুদ বাদামী 𝑯𝒚𝒅𝒓𝒂 𝒗𝒖𝒍𝒈𝒂𝒓𝒊𝒔। বিভিন্ন প্রজাতির 𝐻𝑦𝑑𝑟𝑎-র মধ্যে বাংলাদেশে Hydra vulgaris সুলভ বলে এখানে এ প্রজাতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আরো দেখুন