প্রধান শিক্ষক
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:০১ পূর্বাহ্ণ
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ধরনঃ সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণিঃ তৃতীয়
বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
অধ্যায়ঃ চতুর্থ অধ্যায়
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ছোট কাল থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ আঁকি। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইতিহাস জানি। শিক্ষকতা পেশায় আসার পরে শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্মৃতিসৌধের ছবি অঙ্কন করাই। বাসায় নিজের ছেলে-মেয়েদেরও জাতীয় স্মৃতিসৌদের ছবি আঁকতে উৎসাহিত করি। কিন্ত কোনো দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়নি। সম্প্রতি একটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে ফেরার পথে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখে আসি। ফটকে প্রবেশর পর স্মৃতিসৌধটিকে ছোট দেখাচ্ছিল। কারণ বিশাল জায়গার উপর স্মৃতিসৌধের কাঠামো নিমার্ণ করা হয়েছে। যতই কাছে যেতে থাকি ততই সুন্দর লাগে । মধ্যে স্থানে পৌঁছার পর দেখলাম ছবির ছেয়েও সুন্দর লাগছে। মনে মনে প্রশ্ন জাগল এতদিন কেন এখানে এলাম না? তারপর কাছ থেকে খুব ভালো করে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে মনের মতো করে দেখলাম। বিভিন্ন এঙ্গেলে কত সেলফি তুললাম তার কোন ইয়েত্তা নেই। মনের সাধ মিটিয়ে স্মৃতিসৌধ দেখার পর কৌতূহল জাগল পিছনের দিকের সুন্দর গাছ দেখার জন্য। তারপর ডানদিক থেকে পিছনের দিকে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হলাম। কি সুন্দর। সারি সারি জানা -অজানা গাছ। দেখতে দেখতে হঠাৎ চলে এলাম স্মৃতিসৌধের পিছনের দিকে। এ যে আরেক রকমের দৃশ্য ! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্মৃতিসৌধকে পিছন দিক থেকে দারুণ লাগছে। আসলে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে এক এক দিক থেকে তাকালে এক এক রকম লাগে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল প্রত্যেক দিক থেকেই খুব সুন্দর লাগে। বাস্তবিক না দেখা স্মৃতিসৌধের ধারণা পাল্টে গেল মুহুর্তের মধ্যে। পিছন দিক থেকে দাড়িয়ে প্রতিটি স্তম্বের ইতিহাস মানসপটে ভেসে উঠছিল। ভেসে উঠিছিল এ স্হাপনা নিমার্ণের স্থপতির কথা। ঠিক তখনই ছবি তোলে দৃশ্যটিকে মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করি।