Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০৪:২৯ অপরাহ্ণ

অবস্তুগত সংস্কৃতি

অবস্তুগত সংস্কৃতি (Non-material culture)

মানুষের মনস্তাত্ত্বিক তথা ভাবগত সৃষ্টিই হলো অবস্তুগত সংস্কৃতি। অর্থাৎ যে সংস্কৃতিকে দেখা যায় না, স্পর্শ করা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায় তাকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলে। এ সংস্কৃতি থেকেই বস্তুগত সংস্কৃতির আবির্ভাব ঘটে। তাই সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে এর প্রভাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। Tylor এর সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংজ্ঞায় অবস্তুগত সংস্কৃতির পূর্ণাঙ্গ চিত্রই ফুটে উঠেছে।

C. N. Shakar Rao এর মতে, “The term culture when used in the ordinary sense, means non-material culture. It is something internal and intrinsically valuable, reflects the inward nature of man.” অর্থাৎ, যখন সাধারণ অর্থে কোন সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা হয় তখন তাই বস্তুগত সংস্কৃতি। এটি কিছুটা অন্তঃস্থ এবং এর সহজাত মূল্য অনেক বেশি। সংস্কৃতির এ ধরনটি মানুষের অভ্যন্তরীণ প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটায়।

উদাহরণ: সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন, রীতিনীতি, জ্ঞান, শিল্পকলা, সঙ্গিত, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, আইন ইত্যাদি অবস্তুগত সংস্কৃতি।

অবস্তুগত সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য

১. অবস্তুগত সংস্কৃতি অদৃশ্যমান এবং অহস্তান্তরযোগ্য;

২. এটি ভাবগত বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত;

৩. এটি বস্তুগত সংস্কৃতির উৎস;

8. এটি ধীরগতিতে পরিবর্তন হয়;

৫. এটি সহজে পরিমাপযোগ্য নয়;

৬. এটি মানসিক পরিবর্তনের অধিকারী;

৭. এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় না।

আরো দেখুন