Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০৬:২৯ অপরাহ্ণ

ভাষা আন্দোলনে চারুশিল্পীদের অবদান

ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯-২০ বছরের প্রস্তুতির পর স্বাধীনতার ডাক দিলেন বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু। ছাত্র, শ্রমিক, জনতা সবাই মিলে এগিয়ে আসে স্বাধীনতা নামক লালিত স্বপ্ন পূরণের জন্য। যে যেভাবে পেরেছে তার জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধে। লেখক, গায়ক, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী যার যার জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। সংগ্রাম পরিষদের গায়করা গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছে। তেমনি এদেশের চারুশিল্পী সমাজ প্রেরণা জোগায় আন্দোলন-সংগ্রামের। এগিয়ে আসে মহান মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধা হিসেবে হাতে রং-তুলির অস্ত্র নিয়ে।

শিল্পী হিসেবে যোদ্ধার মতো যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন তারা হলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পটুয়া কামরুল হাসান, দেবদাস চক্রবর্তী, বীরেন সোম, আবুল বারাক আলভী, শাহাবুদ্দিন আহাম্মেদ, চন্দ্রশেখর, মুস্তাফা মনোয়ারসহ আরো অনেকে। তত্কালীন চারুশিল্পীরা তাদের তুলির সঠিক ব্যবহার করেছিলেন দেশমাতৃকাকে বাঁচাতে। শুধু মুক্তিযুদ্ধেই নয় দেশের যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে এসেছিলেন আমাদের চারুশিল্পী সমাজ। শুধু দেশমাতৃকার সন্তান হিসেবেই নয় বরং শিল্পী হিসেবে বিবেকের কাছে শিল্পের দায়ে। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থানের মতো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তারা বারবার প্রমাণ করেছেন শিল্পীরা প্রেরণা দেয় আন্দোলন-সংগ্রামের।সত্তরের দশকের চিত্রশিল্পীরা তাদের তুলির আঁচড়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া খানের মসনদ। শিল্পীদের ফেস্টুন, কার্টুন, ব্যানার, পোস্টার, ব্যঙ্গচিত্রগুলো যেন বন্দুক, রাইফেল, গ্রেনেড, কামান, বোমার মতো বিস্ফোরক হয়ে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানিদের সামনে।ক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদানকারী শিল্পীদের মধ্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র পটুয়া কামরুল হাসান। তিনি অনুভব করেছিলেন একমাত্র একটি স্বাধীন রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালির সত্যিকারের মুক্তি সম্ভব। ১৯৭১-এর মার্চে স্বৈরাচারী শাসক ইয়াহিয়া খান যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হিটলারি কায়দায় গণহত্যা শুরু করল, তখন তিনি উত্তপ্ত বেদনা আর ক্ষোভে জ্বলে ওঠে ‘ইয়াহিয়ার এই জানোয়ারটা আবার আক্রমণ করতে পারে’ শিরোনামে সদৃশ প্রতিকৃতি দিয়ে ১০টি পোস্টার আঁকেন। পোস্টারগুলো শহিদ মিনারে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করা হয়।

আরো দেখুন