সহকারী প্রধান শিক্ষক
১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০৯:৩৩ অপরাহ্ণ
ল্যাবে তৈরি মিটি রাইস
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: নবম
বিষয়: জীবন ও জীবিকা
অধ্যায়: ষষ্ঠ অধ্যায়
প্রোটিন চাহিদা মেটাতে ল্যাবে তৈরি হলো ‘মিটি রাইস’ বা 'মাংসের তৈরি ভাত'!
'মাংসযুক্ত' ভাত বা মিটি রাইস নামের নতুন এক ধরনের হাইব্রিড খাবার উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যাবে তৈরি করা এ ভাতকে তারা পরিবেশবান্ধব ও প্রোটিনের সাশ্রয়ী উৎস বলে দাবি করছেন।
মূলত গরুর মাংস এবং এর ফ্যাট কোষগুলোর সাথে ধানের শস্য মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়েছে এ ভাত ।
এ ভাত তৈরির জন্য প্রথমে চালের ওপর মাছের জেলেটিনের প্রলেপ দেওয়া হয় যাতে সহজে মাংসের কোষগুলো ধানের দানার সাথে লেপ্টে থাকে। তারপর এ দানাকে ১১ দিন ধরে ল্যাবে কালচার ট্রেতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, এই হাইব্রিড চালকে ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষকালীন ত্রাণ, সামরিক রেশন এবং মহাকাশের খাবারসহ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যাবে এবং এটি বিশ্বব্যাপী খাদ্যঘাটতি রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে বাজারে এলে ভোক্তারা এটিকে গ্রহণ করবে কিনা তা এখন মূল চিন্তার বিষয়।
ম্যাটার জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইব্রিড চাল সাধারণ চালের চেয়ে কিছুটা শক্ত ও ভঙ্গুর হলেও এতে বেশি প্রোটিন থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের মতে, এতে ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং ৭ শতাংশ বেশি ফ্যাট রয়েছে।
সাধারণ গরুর মাংসের তুলনায় ল্যাবে তৈরি করা এ মাংসযুক্ত ভাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম প্রোটিনের বিপরীতে হাইব্রিড চাল সর্বোচ্চ ৬.২৭ কেজি (১৩.৮ পাউন্ড) কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে, আর সমান প্রোটিনের জন্য সাধারণ গরুর মাংস থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দাঁড়ায় আটগুণ বেশি প্রায় ৫০ কেজি।
গবেষক সোহিয়ন পার্ক ব্যাখ্যা করেছেন, 'আমরা সাধারণত আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিন গবাদি পশু থেকে পাই, তবে এর জন্য খামারে প্রচুর খাবার এবং পানির প্রয়োজন হয় যা গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।