নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস
রিপিটার(Repeater): আমরা
জানি কোন সিগন্যাল ট্রান্সমিশন এর সময় বিভিন্ন কারণে এই সিগন্যাল আস্তে
আস্থে দূর্বল হতে থাকে । নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব আতিক্রম কারা পর এক সময় এর
অস্থিত্ত্বই লোপ পায় । সিগন্যাল এর এই অস্তিত্ত্ব লোপ পাওয়ার পূর্বেই
সিগন্যালকে পুনরায় বর্ধিত করা প্রয়োজন । সিগন্যালকে বর্ধিত করার জন্য যে
ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেটিই হল রিপিটার । প্রতিটি সিগন্যালে এর একটি
নির্দিষ্ট রেঞ্জ থাকে এরপর থেকে সিগন্যালটি আস্তে আস্তে দূর্বল হতে থাকে ।
এই নির্দিষ্ট রেঞ্জ পর পর একটি করে রিপিটার ব্যবহার করা হয় । যাতে করে
সিগন্যালের কোন ক্ষতি না হয় । এটি OSI Model এর ডাটালিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে।
হাব(Hub): হাব
হল একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট একটি রিপিটার । এটি OSI Model এর ডাটালিঙ্ক
লেয়ারে কাজ করে । এর কোন টেবিল নেই । অর্থাৎ হাব কোন ডিভাইস এর কোন
অ্যাড্রেস সংরক্ষন করে রাখে না । কোন ডিভাইস থেকে যখন কোন ডাটা হাব এর কাছে
আসে , হাব তখন সেটার কোন কিছু না দেখেই তার সকল পোর্ট দিয়ে সেই ডাটা
ট্রন্সমিট করে দেয় । নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস বা ম্যক অ্যাড্রেস নিয়ে হাব এর
কোন মাথা ব্যথা নেই ।
সুইচ(Switch): সুইচ
আসলে একধিক পোর্টবিশিষ্ট একটি ব্রিজ। এটি OSI Model এর ডাটালিঙ্ক লেয়ারে
কাজ করে । এটি সাধারণত লোকল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য ব্যবহার করা হয় । সুইচ
এ একটি ক্যাম টেবিল থাকে যেখানে তার সাথে যুক্ত সকল ডিভাইস এর MAC
অ্যাড্রেস সংকক্ষন করে থাকে । সুইচে যখন কোন একটি ডাটা আসে অন্য কোন
ডিভাইসে পেীছানোর জন্য । সুইচ তখন তার MAC Address দেখে , এই MAC
Address যেই পোর্ট এর সাথে যুক্ত সুইচ ডাটাকে সেই পোর্ট দিয়ে ট্রন্সমিট
করে দেয় । অন্য কোন পোর্ট দিয়ে সেই ডাটা যেতে দেয় না ।
ব্রিজ (Bridge): ব্রিজ
এমন একটি ডিভাইস যা দিয়ে দুটি নেটওয়ার্ক সেগমেন্টকে যুক্ত করা যায় । এটি
হাব এর মতই তবে হাব ও এর মঝে পার্থক্য হল এটি কাজ করে OSI মডেল এর
ডটিালিঙ্ক লেয়ারে । ব্রিজ ডিভাইস এর ম্যক অ্যড্রেস নিয়ে কাজ করে এবং ব্রিজ
প্রতিটি ডিভাইস এর ম্যাক অ্যাড্রেস নিয়ে একটি ব্রিজিং টেবিল তৈরি করে ।
ব্রিজ ম্যাক অ্যাড্রস দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ডাটা পাকেটকে কোন নেটওয়ার্ক
সেগমেন্ট এ পাঠাতে হবে ।