Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৯ মার্চ, ২০২৪ ০১:০৬ অপরাহ্ণ

খেজুরের পুষ্টি গুণ

সুস্বাদু আর পরিচিত একটি ফল খেজুর; যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। তাই এ ফলকে চিনির বিকল্প ধরা হয়। এ ছাড়া খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি, সি, কেসহ প্রচুর খাদ্যগুণ রয়েছে; যা প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। আসুন এর পুষ্টিগুণগুলো জেনে নিই। প্রোটিন : খেজুরে থাকা প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে।

ভিটামিন : খেজুরে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন বি, এ ও সির চাহিদা পূরণের সহজ মাধ্যম খেজুর।

আয়রন : আয়রন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বিশেষ করে নারীদেহে আয়রনের চাহিদা পুরুষের তুলনায় বেশি। আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই আয়রনের অভাব পূরণ করতে খেজুরের তুলনা নেই। এটি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। যাদের হৃৎপিণ্ড দুর্বল তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাদ্য হতে পারে যা তার রোগপ্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসেবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করবে।

কোলেস্টেরল ও ফ্যাট : খেজুরে কোনো বাড়তি চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকে না বলে খেজুর খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।

ক্যালসিয়াম : খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা মানুষের হাড় গঠনে সহায়তা করে। খেজুরের ক্যালসিয়াম শিশুদের জন্য খুবই উপকারী; যা তাদের মাড়ি গঠনে সহায়তা করে। তাই শিশুকে খেজুর খেতে দিন।

ফাইবার : খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে এবং এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি কম।

উপকারিতা : নিয়মিত খেজুর খেলে উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নিই-

এটি পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে।
রোজার মাসে সারা দিন না খেয়ে থাকার কারণে পেটে গ্যাস জমে অস্বস্তি হতে পারে। এ সমস্যা দূর করতে খেজুর খুব ভালো কাজ করে। সেই সঙ্গে শ্লেষ্মা, কফ, শুষ্ক কাশি ও অ্যাজমার সমস্যা দূর করতেও বেশ সহায়ক।
খেজুরে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যেমন পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড ও লিগন্যান। এগুলো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
খেজুর শরীরের শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগই চিনি। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ। এটি হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী করে।
খেজুরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে; যা মানুষকে মানসিক প্রফুল্লতা দেয়। মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বেশ কার্যকর।
খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে, তবে শর্ত হচ্ছে খেজুর খাওয়ার সঙ্গে প্রচুর পানিও পান করতে হবে, তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে।
খেজুরে আছে স্যলুবল ও ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড যা খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই বদহজম থেকে বাঁচতে খেজুর খুবই উপকারী।
এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
খেজুরে আছে হাড় মজবুত করার বিভিন্ন উপাদান, যেমন ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, কপার ও ম্যাগনেসিয়াম। এতে আরও আছে ভিটামিন কে, যা শক্তিশালী হাড়ের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া দাঁত, চুল, ত্বক ও নখ ভালো রাখার জন্যও খেজুর বেশ উপকারী।
শুধু রমজানে সুস্থতার জন্য নয়, সারা বছরই ১-২টি খেজুর খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন নিজেদের সুস্থতার জন্য।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি